সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

কাফি খন্দকার

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নয়দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে জানাগেছে, ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২টায় মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা বেগম  গরুর খড় খুলতে গিয়ে দূর্গ্ধ পেয়ে পাশেপাশের বাড়িতে গিয়ে ডাক চিৎকার দিতে থাকে। তার এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে রয়েছে।

শিশু নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবায় পাওয়া যায়।

এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে ফেলে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর পরিবার থেকে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়।

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৫:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নয়দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে জানাগেছে, ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২টায় মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা বেগম  গরুর খড় খুলতে গিয়ে দূর্গ্ধ পেয়ে পাশেপাশের বাড়িতে গিয়ে ডাক চিৎকার দিতে থাকে। তার এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে রয়েছে।

শিশু নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবায় পাওয়া যায়।

এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে ফেলে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর পরিবার থেকে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়।