শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি নেই

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে সাংবাদিক শফিক রেহমানের করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।

শুনানিতে এই মামলাকে ‘হয়রানিমূলক’ বর্ণনা করে শফিক রেহমানের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী। খালাসের আবেদনে ‘আপত্তি নেই’ বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) বলেন, “রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। তিনি (শফিক রেহমান) একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। খালাস দিলে আমাদের আপত্তি নেই।“

এ বিষয়ে রায়ের তারিখ পরে ঠিক করা হবে বলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত জানিয়েছেন। রবিবার এই আদালতে  শফিক রেহমানের পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি করেন।

তিনি বলেন, “হাসিনাপুত্র জয়কে কথিত অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা এটি। ভিকটিম নিজে মামলা দায়ের করেনি। পুলিশ অতিরিক্ত ইন্টারেস্টে মামলা দায়ের করে। ৯০ বছর বয়সী লোক। তাকে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নাই।

তিনি বলেন, মামলায় ১২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। জয়ও এ মামলায় সাক্ষ্য দিছে। যেদিন জয় এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়, দেখলাম সাক্ষ্য শেষে বিচারক তার পিছে পিছে দৌঁড়াচ্ছেন।তাহলে দেখেন কেমন বিচার হয়েছে।

এই মামলায় যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান ছাড়াও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ আরও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

তারা হলেন-জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তাদের মধ্যে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পেয়েছেন

এই মামলাতে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ বর্ণনা করে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, “তার (শফিক রেহমান) খালাসের প্রার্থনা করছি। শুনানিতে শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় ২০২৩ সালের অগাস্টে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় শফিক রেহমানকে।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল শফিক রেহমানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। ছয় বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে গত ১৮ অগাস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি নেই

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে সাংবাদিক শফিক রেহমানের করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।

শুনানিতে এই মামলাকে ‘হয়রানিমূলক’ বর্ণনা করে শফিক রেহমানের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী। খালাসের আবেদনে ‘আপত্তি নেই’ বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) বলেন, “রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। তিনি (শফিক রেহমান) একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। খালাস দিলে আমাদের আপত্তি নেই।“

এ বিষয়ে রায়ের তারিখ পরে ঠিক করা হবে বলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত জানিয়েছেন। রবিবার এই আদালতে  শফিক রেহমানের পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি করেন।

তিনি বলেন, “হাসিনাপুত্র জয়কে কথিত অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা এটি। ভিকটিম নিজে মামলা দায়ের করেনি। পুলিশ অতিরিক্ত ইন্টারেস্টে মামলা দায়ের করে। ৯০ বছর বয়সী লোক। তাকে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নাই।

তিনি বলেন, মামলায় ১২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। জয়ও এ মামলায় সাক্ষ্য দিছে। যেদিন জয় এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়, দেখলাম সাক্ষ্য শেষে বিচারক তার পিছে পিছে দৌঁড়াচ্ছেন।তাহলে দেখেন কেমন বিচার হয়েছে।

এই মামলায় যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান ছাড়াও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ আরও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

তারা হলেন-জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তাদের মধ্যে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পেয়েছেন

এই মামলাতে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ বর্ণনা করে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, “তার (শফিক রেহমান) খালাসের প্রার্থনা করছি। শুনানিতে শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় ২০২৩ সালের অগাস্টে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় শফিক রেহমানকে।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল শফিক রেহমানকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। ছয় বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে গত ১৮ অগাস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।