বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে, তা শুধু যার হয় তিনিই বুঝতে পারেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ব্যথা হয় তা নিয়ে আজও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তাই মাইগ্রেন চিরতরে নির্মূল করার উপায়ও অজানা। ভরসা ঘরোয়া টোটকায়।মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে বা হালকা উপসর্গ দেখা দিলে এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করতে পারেন, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কী সেসব টোটকা, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
 
আদা চা বা আদার রস: আদা মাইগ্রেনের ব্যথা ও বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা শুরু হওয়ার আভাস পেলে এক টুকরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা কুচি দিয়ে গরম চা বানিয়ে পান করতে পারেন। এটি প্রদাহ কমাতেও সহায়ক।
ঠাণ্ডা বা গরম সেঁক: একটি পরিষ্কার তোয়ালেতে বরফের টুকরো মুড়ে নিয়ে কপালে, মাথার দুই পাশে বা ঘাড়ের পিছনে চেপে ধরুন (কোল্ড কম্প্রেস)। ১৫-২০ মিনিট রাখলে এটি রক্তনালী সংকুচিত করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো পদ্ধতি বেশি কার্যকর। হালকা গরম সেঁক (যেমন হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে) ঘাড়ে বা কাঁধে রাখলে পেশি শিথিল হয়ে আরাম মেলে।আপনার জন্য যেটি আরামদায়ক মনে হয়, সেটি প্রয়োগ করুন।
অন্ধকার ও শান্ত ঘরে বিশ্রাম: মাইগ্রেনের সময় আলো ও শব্দ অসহ্য লাগতে পারে। ব্যথা শুরু হলে বা বাড়লে একটি অন্ধকার ও শান্ত ঘরে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন। এটি স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পেপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডার তেল: পেপারমিন্ট তেলে থাকা মেন্থল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল আঙুলে নিয়ে কপালে বা মাথার দুই পাশের রগে আলতোভাবে মালিশ করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। চাইলে সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে রুমালে কয়েক ফোঁটা নিয়ে গন্ধ শুকতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: কখনো কখনো শরীরে পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশনও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিলে বা ব্যথা চলাকালীন সময়ে অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে মনে রাখতে হবে, শুধু মাইগ্রেন নয়, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের টিউমার থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। যদি ঘন ঘন মাথা যন্ত্রণা হয় বা এই টোটকাগুলোতে না কমে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
জনপ্রিয়

দেশের উদ্দেশ্যে বাসভবন ছাড়লেন তারেক রহমান

মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রকাশের সময় : ১০:০২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে, তা শুধু যার হয় তিনিই বুঝতে পারেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ব্যথা হয় তা নিয়ে আজও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তাই মাইগ্রেন চিরতরে নির্মূল করার উপায়ও অজানা। ভরসা ঘরোয়া টোটকায়।মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে বা হালকা উপসর্গ দেখা দিলে এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করতে পারেন, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কী সেসব টোটকা, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
 
আদা চা বা আদার রস: আদা মাইগ্রেনের ব্যথা ও বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা শুরু হওয়ার আভাস পেলে এক টুকরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা আদা কুচি দিয়ে গরম চা বানিয়ে পান করতে পারেন। এটি প্রদাহ কমাতেও সহায়ক।
ঠাণ্ডা বা গরম সেঁক: একটি পরিষ্কার তোয়ালেতে বরফের টুকরো মুড়ে নিয়ে কপালে, মাথার দুই পাশে বা ঘাড়ের পিছনে চেপে ধরুন (কোল্ড কম্প্রেস)। ১৫-২০ মিনিট রাখলে এটি রক্তনালী সংকুচিত করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো পদ্ধতি বেশি কার্যকর। হালকা গরম সেঁক (যেমন হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে) ঘাড়ে বা কাঁধে রাখলে পেশি শিথিল হয়ে আরাম মেলে।আপনার জন্য যেটি আরামদায়ক মনে হয়, সেটি প্রয়োগ করুন।
অন্ধকার ও শান্ত ঘরে বিশ্রাম: মাইগ্রেনের সময় আলো ও শব্দ অসহ্য লাগতে পারে। ব্যথা শুরু হলে বা বাড়লে একটি অন্ধকার ও শান্ত ঘরে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন। এটি স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পেপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডার তেল: পেপারমিন্ট তেলে থাকা মেন্থল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল আঙুলে নিয়ে কপালে বা মাথার দুই পাশের রগে আলতোভাবে মালিশ করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। চাইলে সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে রুমালে কয়েক ফোঁটা নিয়ে গন্ধ শুকতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: কখনো কখনো শরীরে পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশনও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিলে বা ব্যথা চলাকালীন সময়ে অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে মনে রাখতে হবে, শুধু মাইগ্রেন নয়, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের টিউমার থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। যদি ঘন ঘন মাথা যন্ত্রণা হয় বা এই টোটকাগুলোতে না কমে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।