মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার লুইস আর নেই

ছবি-সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম ভরসার নাম ডিফেন্ডার লুইস গ্যালভান মারা গেছেন। নিউমোনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে কর্দোভা শহরের একটি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি ফুটবলার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গ্যালভান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিভিন্ন ক্লাবে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খেলেছেন বলিভিয়ায়। ১৯৭৫ সালে প্যান আমেরিকান গেমস দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে অভিষেক হয়।

লুইস গ্যালভান ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ বিশ্বকাপে দলের শিরোপা জয়ে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে খেলেছেন তিনি। বিশেষ করে অধিনায়ক দানিয়েল পাসারেলার সাথে তাঁর রসায়ন প্রতিপক্ষের আক্রমণকে বারবার রুখে দিয়েছে, গড়ে তুলেছিল এক দুর্ভেদ্য সেন্ট্রাল ডিফেন্স।

১৯৮২ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন গ্যালভান যদিও সেই আসরে দলগতভাবে আর্জেন্টিনা সাফল্য পায়নি। এরপরই, ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি। আর পেশাদার ফুটবল থেকে ১৯৮৭ সালে পুরোপুরি অবসর নেন মাঠের ভেতরে শান্ত, দৃঢ় এবং ট্যাকলিংয়ে পারদর্শী ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন লুইস গ্যালভান।

জনপ্রিয়

ব্রোকলি কেন খাবেন? জেনে নিন

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার লুইস আর নেই

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম ভরসার নাম ডিফেন্ডার লুইস গ্যালভান মারা গেছেন। নিউমোনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে কর্দোভা শহরের একটি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি ফুটবলার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গ্যালভান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিভিন্ন ক্লাবে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খেলেছেন বলিভিয়ায়। ১৯৭৫ সালে প্যান আমেরিকান গেমস দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে অভিষেক হয়।

লুইস গ্যালভান ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ বিশ্বকাপে দলের শিরোপা জয়ে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে খেলেছেন তিনি। বিশেষ করে অধিনায়ক দানিয়েল পাসারেলার সাথে তাঁর রসায়ন প্রতিপক্ষের আক্রমণকে বারবার রুখে দিয়েছে, গড়ে তুলেছিল এক দুর্ভেদ্য সেন্ট্রাল ডিফেন্স।

১৯৮২ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন গ্যালভান যদিও সেই আসরে দলগতভাবে আর্জেন্টিনা সাফল্য পায়নি। এরপরই, ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি। আর পেশাদার ফুটবল থেকে ১৯৮৭ সালে পুরোপুরি অবসর নেন মাঠের ভেতরে শান্ত, দৃঢ় এবং ট্যাকলিংয়ে পারদর্শী ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন লুইস গ্যালভান।