বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাউজানে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৭

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
রাউজানে পানি চলাচলের পথবন্ধ করে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের ৭জন। দুপক্ষের উত্তেজনায় ৩টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাইর ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সাতজন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চিকিৎসা সেবা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সাইফুদ্দিন মো. রাশেদ (৪৩), মনোয়ারা বেগম (৩৬), বাচা মিয়া (৪৮), শিরিন আকতার (৩৭), আল ফয়সাল (১৬), ইফতেখার হাসান তুষার (১৭) মো. হোসেন (১৬)।
স্থানীয়দের ভাষ্য রবিবার দুপুরে পানি চলাচলের পথবন্ধ করে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জরিনা বেগমের আধাপাকা ঘর, মো. সিরাজুল ইসলাম এবং এমরানের পাকা বহুতল ভবন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ির টিনের ঘিরেবেড়ার টিন ভাঙচুর করা হয়। বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও ছেলেকে আহত বিচার চান সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম বলেন, আমাদের ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ আমরা শিশুদের নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি। ইমনের দাদি জাহানারা বেগম বলেন, তাদের বসতঘর ভাঙচুর ও তার দুই নাতিকেসহ কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে৷ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জরিনা বেগম বলেন, আমার ঘরের টিন তছনছ করে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি বলেন,  আমার সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারি পরবর্তী ৩টি ঘর ভাঙচুর করা হয়৷
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ দুপক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন। তবে উভয় পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রাউজানে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৭

প্রকাশের সময় : ১০:২১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
রাউজানে পানি চলাচলের পথবন্ধ করে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের ৭জন। দুপক্ষের উত্তেজনায় ৩টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাইর ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে সাতজন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চিকিৎসা সেবা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সাইফুদ্দিন মো. রাশেদ (৪৩), মনোয়ারা বেগম (৩৬), বাচা মিয়া (৪৮), শিরিন আকতার (৩৭), আল ফয়সাল (১৬), ইফতেখার হাসান তুষার (১৭) মো. হোসেন (১৬)।
স্থানীয়দের ভাষ্য রবিবার দুপুরে পানি চলাচলের পথবন্ধ করে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জরিনা বেগমের আধাপাকা ঘর, মো. সিরাজুল ইসলাম এবং এমরানের পাকা বহুতল ভবন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ির টিনের ঘিরেবেড়ার টিন ভাঙচুর করা হয়। বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও ছেলেকে আহত বিচার চান সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম বলেন, আমাদের ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ আমরা শিশুদের নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি। ইমনের দাদি জাহানারা বেগম বলেন, তাদের বসতঘর ভাঙচুর ও তার দুই নাতিকেসহ কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে৷ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জরিনা বেগম বলেন, আমার ঘরের টিন তছনছ করে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি বলেন,  আমার সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারি পরবর্তী ৩টি ঘর ভাঙচুর করা হয়৷
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ দুপক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন। তবে উভয় পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।