সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় পরিত্যক্ত জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন, সফল চাষী নাছির মুন্সি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় পরিত্যক্ত পড়ে থাকা জমিতে বাদাম চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর সাউথখালী গ্রামের কৃষক মো.নাছির মুন্সি। কৃষি অফিসের সহায়তায় তিনি ৭ কাঁটা অনাবাদি জমিতে বারি চীনাবাদাম-৬ চাষ করে পেয়েছেন বাম্পার ফলন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের অনুৎপাদনশীল জমিটি এখন পরিণত হয়েছে সবুজে ভরা বাদামের খেতে। বাতাসে দুলছে বাদামের গাছ, যা জানাচ্ছে সোনালি সম্ভাবনার বার্তা।
কৃষক নাছির মুন্সি জানান, “উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি ৭ কাঁটা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বাদাম চাষ করতে চাই। কৃষি অফিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘ক্লাইমেট স্মার্ট’ প্রকল্পের আওতায় কৃষককে উন্নত জাতের বীজ, সার, কীটনাশক এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, “আমরা কৃষককে বারি চীনাবাদাম-৬ জাতের বীজ সরবরাহ করি এবং নিয়মিত তার খেত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি। ফলে তিনি আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। তার সফলতা দেখে আশেপাশের কৃষকদের মাঝেও বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে।”
পরিত্যক্ত জমিতে এই সফলতা নতুন করে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে শরণখোলার কৃষি খাতে। নাছির মুন্সির এই উদ্যোগ এখন অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

শরণখোলায় পরিত্যক্ত জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন, সফল চাষী নাছির মুন্সি

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় পরিত্যক্ত পড়ে থাকা জমিতে বাদাম চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর সাউথখালী গ্রামের কৃষক মো.নাছির মুন্সি। কৃষি অফিসের সহায়তায় তিনি ৭ কাঁটা অনাবাদি জমিতে বারি চীনাবাদাম-৬ চাষ করে পেয়েছেন বাম্পার ফলন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের অনুৎপাদনশীল জমিটি এখন পরিণত হয়েছে সবুজে ভরা বাদামের খেতে। বাতাসে দুলছে বাদামের গাছ, যা জানাচ্ছে সোনালি সম্ভাবনার বার্তা।
কৃষক নাছির মুন্সি জানান, “উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি ৭ কাঁটা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বাদাম চাষ করতে চাই। কৃষি অফিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘ক্লাইমেট স্মার্ট’ প্রকল্পের আওতায় কৃষককে উন্নত জাতের বীজ, সার, কীটনাশক এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, “আমরা কৃষককে বারি চীনাবাদাম-৬ জাতের বীজ সরবরাহ করি এবং নিয়মিত তার খেত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি। ফলে তিনি আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। তার সফলতা দেখে আশেপাশের কৃষকদের মাঝেও বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে।”
পরিত্যক্ত জমিতে এই সফলতা নতুন করে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে শরণখোলার কৃষি খাতে। নাছির মুন্সির এই উদ্যোগ এখন অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।