সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান, ইউরোপা লিগে টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়ন

এক যুগ পেরিয়ে আরও পাঁচ বছর। ৬ হাজার ২০০ দিনের দীর্ঘ খরা। অবশেষে টটেনহ্যাম হটস্পার পেল ট্রফি জয়ের স্বাদ। বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাতে উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলো লন্ডনের ক্লাবটি।

নিরপেক্ষ ভেন্যু স্পেনের সান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপা লিগ ২০২৪–২৫ মৌসুমের বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল। যেখানে নাটকীয়তা, চাপ এবং আবেগের এক অনন্য মিশ্রণে নির্ধারিত হয় ইউরোপা সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী।

শেষবার ২০০৮ সালে লিগ কাপ জিতেছিল টটেনহ্যাম। এরপর বহুবার সম্ভাবনার আলো দেখা গেলেও শিরোপার ঘরে কিছুই যোগ হয়নি। ক্লাব বদলেছে কোচ, বদলেছে প্রজন্ম, কিন্তু ট্রফির স্বাদ অধরাই ছিল। সেই অপূর্ণতা মুছে দিলেন ওয়েলশ উইঙ্গার ব্রেনান জনসন।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই আসে ভাগ্যনির্ধারণী মুহূর্তটি। পাপে মাতার সার-এর ডানপ্রান্ত থেকে বাড়ানো নিচু ক্রসে বল লেগে যায় ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ’য়ের পায়ে, যা ফাঁকি দেয় ওনানার প্রহরাকে। জনসনের ক্রমাগত চেষ্টার ফলই যেন টটেনহ্যামের জন্য সোনার হরিণ হয়ে ধরা দেয়। এই গোলটি ছিল ইউরোপা ফাইনালের মঞ্চে স্পারসদের ১৬ বছরের প্রথম গোল এবং সবচেয়ে দামি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের অবস্থান বলছে ফাইনালে তাদের জায়গা পাওয়াই অনেকের কাছে বিস্ময়কর। ইউনাইটেড রয়েছে ১৬তম স্থানে এবং টটেনহ্যাম ১৭তম। এই মৌসুমে লিগে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ইউরোপা লিগে দুই দলই ছিল উজ্জ্বল।

তবে ফাইনাল ম্যাচে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল না কারও। ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজের কাজ হয়নি। হইলুন্ড, শ ও গারনাচোর শটগুলো ব্যর্থ হয় গোলরক্ষক ভিকারিও এবং প্রতিরক্ষায় দুর্দান্ত থাকা মিকি ফন দ্য ফেনের কাছে।

ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পেদ্রো পোরোর ট্যাকলে লুক শ’ পড়ে গেলে ইউনাইটেড পেনাল্টির দাবি জানায়। কিন্তু রেফারি দৃঢ়ভাবে তা নাকচ করেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে শ’র হেডার দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁচান ভিকারিও। যেটি নিশ্চিত করে টটেনহ্যামের বিজয়।

এই জয়ে টটেনহ্যাম ইউরোপা লিগের ট্রফি জিতল তৃতীয়বারের মতো। এর আগে ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা কাপ (সাবেক নাম) জিতেছিল তারা। এই জয়ের ফলে তারা সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেল এবং আগামী আগস্টে উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালে পিএসজি অথবা ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে।

জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান, ইউরোপা লিগে টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

এক যুগ পেরিয়ে আরও পাঁচ বছর। ৬ হাজার ২০০ দিনের দীর্ঘ খরা। অবশেষে টটেনহ্যাম হটস্পার পেল ট্রফি জয়ের স্বাদ। বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাতে উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলো লন্ডনের ক্লাবটি।

নিরপেক্ষ ভেন্যু স্পেনের সান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপা লিগ ২০২৪–২৫ মৌসুমের বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল। যেখানে নাটকীয়তা, চাপ এবং আবেগের এক অনন্য মিশ্রণে নির্ধারিত হয় ইউরোপা সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী।

শেষবার ২০০৮ সালে লিগ কাপ জিতেছিল টটেনহ্যাম। এরপর বহুবার সম্ভাবনার আলো দেখা গেলেও শিরোপার ঘরে কিছুই যোগ হয়নি। ক্লাব বদলেছে কোচ, বদলেছে প্রজন্ম, কিন্তু ট্রফির স্বাদ অধরাই ছিল। সেই অপূর্ণতা মুছে দিলেন ওয়েলশ উইঙ্গার ব্রেনান জনসন।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই আসে ভাগ্যনির্ধারণী মুহূর্তটি। পাপে মাতার সার-এর ডানপ্রান্ত থেকে বাড়ানো নিচু ক্রসে বল লেগে যায় ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ’য়ের পায়ে, যা ফাঁকি দেয় ওনানার প্রহরাকে। জনসনের ক্রমাগত চেষ্টার ফলই যেন টটেনহ্যামের জন্য সোনার হরিণ হয়ে ধরা দেয়। এই গোলটি ছিল ইউরোপা ফাইনালের মঞ্চে স্পারসদের ১৬ বছরের প্রথম গোল এবং সবচেয়ে দামি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের অবস্থান বলছে ফাইনালে তাদের জায়গা পাওয়াই অনেকের কাছে বিস্ময়কর। ইউনাইটেড রয়েছে ১৬তম স্থানে এবং টটেনহ্যাম ১৭তম। এই মৌসুমে লিগে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ইউরোপা লিগে দুই দলই ছিল উজ্জ্বল।

তবে ফাইনাল ম্যাচে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল না কারও। ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজের কাজ হয়নি। হইলুন্ড, শ ও গারনাচোর শটগুলো ব্যর্থ হয় গোলরক্ষক ভিকারিও এবং প্রতিরক্ষায় দুর্দান্ত থাকা মিকি ফন দ্য ফেনের কাছে।

ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পেদ্রো পোরোর ট্যাকলে লুক শ’ পড়ে গেলে ইউনাইটেড পেনাল্টির দাবি জানায়। কিন্তু রেফারি দৃঢ়ভাবে তা নাকচ করেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে শ’র হেডার দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁচান ভিকারিও। যেটি নিশ্চিত করে টটেনহ্যামের বিজয়।

এই জয়ে টটেনহ্যাম ইউরোপা লিগের ট্রফি জিতল তৃতীয়বারের মতো। এর আগে ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা কাপ (সাবেক নাম) জিতেছিল তারা। এই জয়ের ফলে তারা সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেল এবং আগামী আগস্টে উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালে পিএসজি অথবা ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে।