বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

ছবি-সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনার দুই দিন পর দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ।

শনিবার (২৪ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামারগাঁও গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আব্বাস মিয়া (৩২)। আশুরাইল গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৬)।

গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিলপাড়া এলাকায় একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে গাড়ির যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরে তাদের মারধর করে এবং নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতরা মরদেহের ওপরও আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ঘটনার তদন্তে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, মরদেহে সরাসরি আঘাতের কোনো আলামত মেলেনি। বরং ডাকাতরা সন্দেহ করেছিল মরদেহের নিচে মূল্যবান কিছু লুকানো থাকতে পারে, তাই মরদেহ সরানো বা নাড়াচাড়ার চেষ্টা করেছিলেন ডাকাতরা।

তিনি আরও বালেন, আত্মগোপনে থাকা অন্যান্য ডাকাতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৩-১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনার দুই দিন পর দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ।

শনিবার (২৪ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামারগাঁও গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আব্বাস মিয়া (৩২)। আশুরাইল গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৬)।

গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিলপাড়া এলাকায় একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে গাড়ির যাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরে তাদের মারধর করে এবং নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতরা মরদেহের ওপরও আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ঘটনার তদন্তে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, মরদেহে সরাসরি আঘাতের কোনো আলামত মেলেনি। বরং ডাকাতরা সন্দেহ করেছিল মরদেহের নিচে মূল্যবান কিছু লুকানো থাকতে পারে, তাই মরদেহ সরানো বা নাড়াচাড়ার চেষ্টা করেছিলেন ডাকাতরা।

তিনি আরও বালেন, আত্মগোপনে থাকা অন্যান্য ডাকাতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৩-১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।