শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘কেরির ট্যাবলেট’ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত আল আমিন ও জরিনা বেগম দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

রবিবার রাতে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন (২৫)  লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা বেগম (২০) নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।

জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপোড়েনে তারা অশান্তিতে ভুগছিলেন। আল আমিন কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এ দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেন। রোববার রাতে তারা কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় লড়লেও রাত ১টার দিকে আল আমিনও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

জনপ্রিয়

মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে, কেন এমন মন্তব্য করলেন মিমি??

আশুগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘কেরির ট্যাবলেট’ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত আল আমিন ও জরিনা বেগম দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

রবিবার রাতে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন (২৫)  লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা বেগম (২০) নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।

জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপোড়েনে তারা অশান্তিতে ভুগছিলেন। আল আমিন কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এ দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেন। রোববার রাতে তারা কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় লড়লেও রাত ১টার দিকে আল আমিনও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।