
সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি
মোংলায় নাবিকদের জিম্মি করে বানিজ্যিক জাহাজ থেকে লুন্ঠিত মেশিনারিজ,ব্যাটারি,চার্জার,গ্
২৮ মে বুধবার দুপুরে কোষ্টগার্ড বেইস মোংলায় কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোন এর অপারেশন্স কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গত ২৬ মে সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোংলা পোর্ট সংলগ্ন বেইস ক্রিক এলাকায় নোঙররত ‘এমভি সেজুঁতি’ নামক বাংলাদেশি একটি বানিজ্যিক জাহাজে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। তারা জাহাজের ক্রুদের জিম্মি করে বেশ কিছু মেশিনারিজ মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর একটি অনুসন্ধানী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে জাহাজের নাবিকদের সাথে আলাপ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোংলা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ২৭ মে মঙ্গলবার ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট ৩ জন ব্যক্তিকে আটক করে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি ডাকাতির ঘটনা মনে হলেও, জাহাজ কর্তৃপক্ষ, অফিসার, ক্রু ও আটককৃত ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত সাজানো ডাকাতির ঘটনা বলে ধারনা করছে কোষ্টগার্ড। যে কাজে জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যান্য নাবিক বৃন্দ ও স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ধারনা করা হচ্ছে জাহাজের অধিকাংশ নাবিক গত ৬/৭মাস ধরে সঠিকভাবে বেতন না পাওয়ায় নাবিকদের মধ্যে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছিল।একারণে আর্থিক ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বেও জাহাজ হতে বিভিন্ন গ্রুপ ও ডাকাতের কাছে মেশিনারিজ পার্টস বিক্রি করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা জানায়, তারা জাহাজের চীফ ইঞ্জিনিয়ার এর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে মিলে এই ডাকাতির নাটক সাজিয়ে লুটকৃত মালামাল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ ভাগাভাগির পরিকল্পনা করে।
উদ্ধারকৃত মালামাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর এবং আটককৃত ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
ভবিষ্যতে এরূপ কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তা কঠোরভাবে দমন করবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।।
সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি 







































