
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরেরর মতলব উত্তর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ৪ হাজার ৮০২ টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে । এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৯৮টি। মতলব উত্তর উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে কোরবানি পশু কেনাবেচা করার জন্য ১৭ অস্থায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে।
কোরবানির হাটে আসছে ষাঁড় “কালিয়া ও লালু সর্দার “। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয় হাটবাজার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই দুটি ষাঁড় লালনপালন করছে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে খামার ‘এম এইচ বি এম এগ্রো’, যার কর্ণধার মেহেদী হাসান বাবু মিয়াজী।
মেহেদী হাসান বাবু মিয়াজী জানান,লাল রঙের ‘লালু সর্দার’ ও কালো রঙের ‘কালিয়া’ দুটিই হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। কালিয়া’-এর ওজন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মণ। এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ‘লালু সর্দার’-এর ওজন প্রায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মালিক বাবু মিয়াজী জানান, আকাশছোঁয়া দাম চেয়ে লাভ নেই। আমি ফিক্সড দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। মতলব উত্তর উপজেলার ভেতরে কেউ কিনলে বাড়ি পর্যন্ত ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছি।
৯ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানির ঈদ। আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর বাজারে ভালো দামের আশায় ছোট-বড়-মাঝারি ও প্রান্তিক খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ সময়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ছোট-বড় মিলে ২৬২ জন খামারী রয়েছে। এছাড়াও গৃহস্থরা নিজ বাড়িতেও গরু- ছাগল পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড় ২হাজার ৭০টি, বলদ ৯১০টি, গাভী ৬৯৪টি, মহিষ ৬টি, ছাগল ৯৩০টি ও ভেড়া ১১৭টি ও অন্যাণ্য ৭৫টি সহ মোটি ৪ হাজার ৮০২ টি পশু প্রস্তÍুত রয়েছে।
এ উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ২০০ টি। প্রস্তÍুত রয়েছে ৪ হাজার ৮০২ টি। কুরবানির চাহিদা মিটাতে উপজেলার ৩৯৮টি পশু ঘাটতি রয়েছে ।
স্থানীয় খামারিরা জানান, কুরবানির জন্য আমার খামারে দেশী বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তÍুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্য প্রস্তÍুতি নিচ্ছি । তবে এবছর খৈল,গমের ভুষি ও খড় সহ অন্যান্য পশু খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি কারণে গরু পালনে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আশানুরুপ দাম পেলে লাভবান হওয়ার আশা করছি। আর যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.শ্যামল চন্দ্র দাস জানান,এ বছর আমরা কোরবানি প্রস্তÍুত করার জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছি। আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে গৃহস্ত ও খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।উপজেলায় ১৮টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। চাহিদার আলোকে কোনো ধরনের পশুই সংকট হবে না। কারণ কোরবানির হাটে অন্য জেলা ও উপজেলার পশু আসলে চাহিদা মিটে যায়।
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ 







































