বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় বাঁধ ভেঙে ৩০০ পরিবার পানিবন্দি, আশ্রয়-খাদ্য-বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট

নাজমুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট)  
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তেরাবেকা গ্রামে অস্থায়ী একটি রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে হঠাৎ করেই পানি ঢুকে পড়ে পুরো গ্রামে। এতে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের বেলা হঠাৎ বাঁধ ভেঙে গেলে তারা কোন প্রস্তুতি নিতে পারেননি। গৃহস্থালির মালামাল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে চরম খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে ভুগছেন।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, “বাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনাটি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আঘাতেও এই একই বাঁধ ভেঙে তেরাবেকা গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। শরণখোলায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল বেরিবাঁধ থাকলেও তেরাবেকা গ্রামের পরিবারগুলো এর বাইরের এলাকায় বসবাস করায় তারা বছরের পর বছর একটি অস্থায়ী রিং বাঁধের ওপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করে আসছেন।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু জরুরি ত্রাণ নয়, দ্রুত একটি টেকসই ও স্থায়ী রিং বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্যোগে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চালিতাবুনিয়াসহ আশেপাশের অন্যান্য উপকূলীয় জনপদগুলোতেও যাতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ত্রাণ সহায়তা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়—এটাই এখন সময়ের দাবি।
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

শরণখোলায় বাঁধ ভেঙে ৩০০ পরিবার পানিবন্দি, আশ্রয়-খাদ্য-বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট

প্রকাশের সময় : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
নাজমুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট)  
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তেরাবেকা গ্রামে অস্থায়ী একটি রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে হঠাৎ করেই পানি ঢুকে পড়ে পুরো গ্রামে। এতে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের বেলা হঠাৎ বাঁধ ভেঙে গেলে তারা কোন প্রস্তুতি নিতে পারেননি। গৃহস্থালির মালামাল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে চরম খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে ভুগছেন।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, “বাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনাটি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আঘাতেও এই একই বাঁধ ভেঙে তেরাবেকা গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। শরণখোলায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল বেরিবাঁধ থাকলেও তেরাবেকা গ্রামের পরিবারগুলো এর বাইরের এলাকায় বসবাস করায় তারা বছরের পর বছর একটি অস্থায়ী রিং বাঁধের ওপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করে আসছেন।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু জরুরি ত্রাণ নয়, দ্রুত একটি টেকসই ও স্থায়ী রিং বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্যোগে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চালিতাবুনিয়াসহ আশেপাশের অন্যান্য উপকূলীয় জনপদগুলোতেও যাতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ত্রাণ সহায়তা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়—এটাই এখন সময়ের দাবি।