বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিককে ‘ভালো থেকো’ লিখে তরুণীর আত্মহত্যা 

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
রাউজানে প্রেমিকের সাথে অভিমান করে লিজা আকতার (১৮) নামে এক তরুণী আত্নহত্যা করেছে।
জানাগেছে,  লিজা ম্যাসেঞ্জারে প্রেমিককে আত্মহত্যার প্রস্তুতির ছবি পাঠিয়ে, ভালো থেকো লিখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেছিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন বিকালে রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে হেদায়েত আলী মুন্সির বাড়িস্থ তার বসতঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে জানালা দিয়ে ঝুলতে দেখে দরজা ভেঙে লাশ নিচে নামান নিলোফা নামে এক নারী।
লিজা ওই এলাকার মৃত ফারুকের মেয়ে। গত ৫-৬ মাস আগে বাবা মারা যান, তার অনেক আগেই মা হারান লিজা। চার বোনের মধ্যে লিজা দ্বিতীয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আত্মহননকারী লিজার সঙ্গে রাউজান পৌরসভার ছিটিয়া পাড়া এলাকার আবসারের ছেলে সাহেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
লিজাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখালেও গড়িমসি করায় তার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ লিজার বোন তাসফিয়া।
জানা যায়, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাহেদের পরিচয় হয়৷ এরপর মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান, তারপর গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখালেও গড়িমসি করায় মাঝে মধ্যে দুজনের বাকবিতন্ডা হতো। সর্বশেষ বুধবার রাতে দুজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে লিজা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রেম ঘটিত কারণে বলা হলেও তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রেমিককে ‘ভালো থেকো’ লিখে তরুণীর আত্মহত্যা 

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
রাউজানে প্রেমিকের সাথে অভিমান করে লিজা আকতার (১৮) নামে এক তরুণী আত্নহত্যা করেছে।
জানাগেছে,  লিজা ম্যাসেঞ্জারে প্রেমিককে আত্মহত্যার প্রস্তুতির ছবি পাঠিয়ে, ভালো থেকো লিখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেছিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন বিকালে রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে হেদায়েত আলী মুন্সির বাড়িস্থ তার বসতঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে জানালা দিয়ে ঝুলতে দেখে দরজা ভেঙে লাশ নিচে নামান নিলোফা নামে এক নারী।
লিজা ওই এলাকার মৃত ফারুকের মেয়ে। গত ৫-৬ মাস আগে বাবা মারা যান, তার অনেক আগেই মা হারান লিজা। চার বোনের মধ্যে লিজা দ্বিতীয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, আত্মহননকারী লিজার সঙ্গে রাউজান পৌরসভার ছিটিয়া পাড়া এলাকার আবসারের ছেলে সাহেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
লিজাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখালেও গড়িমসি করায় তার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ লিজার বোন তাসফিয়া।
জানা যায়, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাহেদের পরিচয় হয়৷ এরপর মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান, তারপর গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখালেও গড়িমসি করায় মাঝে মধ্যে দুজনের বাকবিতন্ডা হতো। সর্বশেষ বুধবার রাতে দুজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে লিজা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রেম ঘটিত কারণে বলা হলেও তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।