
উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি ও কাবিলপুর গ্রামের অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একইভাবে ফুলছড়ি, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকাও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভাঙনের কবলে পড়েছে কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর উড়িয়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দাড়িয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিপি রাণী বলেন, ‘বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যেতে পারে।’
স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা এলেই আতঙ্ক দেখা দেয়। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগও বাড়ে। কিন্তু কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায় না।’
উড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, ‘প্রতি বছর ভাঙন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে নামে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না। এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করলে মানুষ আরও বড় বিপদের মুখে পড়বে।’
গাইবান্ধা প্রতিনিধি।। 







































