বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড্রোনে নজরদারি: পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার নৌকা জব্দ

নাজমুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট) 
পূর্ব সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও জোরদার করেছে বনবিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার, বিকেলে, চাঁদপাই রেঞ্জের স্মার্ট টহল টিম-১ ড্রোনের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরার একটি অবৈধ নৌকা জব্দ করেছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাপসী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন বয়ারশিং খালের শিসা খালে ড্রোন উড়িয়ে একটি সন্দেহজনক নৌকা শনাক্ত করা হয়। পরে বনরক্ষীরা পায়ে হেঁটে টহল চালিয়ে খালের শেষ প্রান্তে গিয়ে একটি নৌকা জব্দ করেন। নৌকাটিতে দুইটি মাছ ও একটি ব্যবহৃত বিষের বোতল পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার মতো কর্মকাণ্ড শুধু বনজ সম্পদের জন্যই নয়, মানবস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষ দিয়ে মাছ ধরার ফলে শুধু জলজ প্রাণী নয়, এর প্রভাব পড়ছে বনাঞ্চলের অন্যান্য প্রাণী ও পরিবেশে। গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের বিষাক্ত মাছ ভোক্তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে দু-একটি নৌকা আটক করলেও মূল সমস্যা থেকে যাচ্ছে অরক্ষিত। যারা এই বিষ সরবরাহ করে—দাদনদার ও কিছু অসাধু আড়তদার—তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এ অপরাধ বন্ধ হওয়া কঠিন।
তাদের দাবি, বাজারজাতকরণে ব্যবহৃত মাছ ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রমাণসহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে, তবেই রক্ষা পাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও মানুষের স্বাস্থ্য।
জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ড্রোনে নজরদারি: পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার নৌকা জব্দ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
নাজমুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট) 
পূর্ব সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও জোরদার করেছে বনবিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার, বিকেলে, চাঁদপাই রেঞ্জের স্মার্ট টহল টিম-১ ড্রোনের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরার একটি অবৈধ নৌকা জব্দ করেছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাপসী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন বয়ারশিং খালের শিসা খালে ড্রোন উড়িয়ে একটি সন্দেহজনক নৌকা শনাক্ত করা হয়। পরে বনরক্ষীরা পায়ে হেঁটে টহল চালিয়ে খালের শেষ প্রান্তে গিয়ে একটি নৌকা জব্দ করেন। নৌকাটিতে দুইটি মাছ ও একটি ব্যবহৃত বিষের বোতল পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার মতো কর্মকাণ্ড শুধু বনজ সম্পদের জন্যই নয়, মানবস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষ দিয়ে মাছ ধরার ফলে শুধু জলজ প্রাণী নয়, এর প্রভাব পড়ছে বনাঞ্চলের অন্যান্য প্রাণী ও পরিবেশে। গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের বিষাক্ত মাছ ভোক্তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে দু-একটি নৌকা আটক করলেও মূল সমস্যা থেকে যাচ্ছে অরক্ষিত। যারা এই বিষ সরবরাহ করে—দাদনদার ও কিছু অসাধু আড়তদার—তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এ অপরাধ বন্ধ হওয়া কঠিন।
তাদের দাবি, বাজারজাতকরণে ব্যবহৃত মাছ ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রমাণসহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে, তবেই রক্ষা পাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও মানুষের স্বাস্থ্য।