
সকালের নাস্তায় অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। এটি খেতে খুব বেশি সুস্বাদু মনে না-ও হতে পারে, তবে এর উপকারিতার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। ওটস আপনার পেটের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। ফিটনেস সচেতনদের খাবারের তালিকার শুরুর দিকেই থাকে ওটস। প্রতিদিন ওটস খাওয়া কি শরীরের জন্য উপকারী? আপনার মনে যদি এই প্রশ্ন জাগে, তবে জেনে নিন প্রতিদিন ওটস খেলে শরীরে কী ঘটে-
দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ওটস রাখলে তা পেটের নানা সমস্যা সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। অক্সফোর্ড একাডেমিকে প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, ওটস দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর যা পরিপাকতন্ত্রকে আলতো করে পরিষ্কার করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, পেট ফাঁপা দূর করে এবং অন্ত্রকে স্থির করে তোলে। এর কারণ হলো ওটস পানি শোষণ করতে পারে এবং জেলের মতো গঠন তৈরি করতে পারে, যা সহজেই মল সরাতে সাহায্য করে।
সকালের নাস্তায় ওটস খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। কারণ এটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। ২০২১ সালে ফুডস-এ প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, ওটসে থাকা স্লো-রিলিজ কার্বোহাইড্রেট হঠাৎ ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটসের সঙ্গে ফল, বাদাম বা বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনাকে স্বাভাবিকভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পেটের চর্বি কমানো সবচেয়ে কঠিন। নিয়মিত ওটস খেলে এই কঠিন কাজ কিছুটা সহজ হতে পারে। ওটসে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি এবং এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান পেট ভরা অনুভূতিতে সাহায্য করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল থাকলে ওটস কোমরের চারপাশে চর্বি জমাও কমাতে পারে।
ত্বক ভালো রাখে
সকালে এক বাটি ওটস হাইড্রেটিং, প্রদাহ-বিরোধী এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত হতে পারে, যা ত্বকের জন্য আশ্চর্যজনক উপকারিতা নিয়ে আসে। প্রতিদিন ওটস খেলে তা ত্বকের লালচেভাব, শুষ্কতা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ওটস খেলে তা প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে, কারণ এটি শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে দেয়।
শক্তির স্তর ভারসাম্যপূর্ণ রাখে
ওটসে থাকা ফাইবার উপাদান খাবারের পরে অলসতা দূর করতে সাহায্য করে। সাদা রুটি বা প্রক্রিয়াজাত শস্যের মতো সুগারের মাত্রা বাড়ানোর পরিবর্তে, ওটস ধীরে ধীরে এনার্জি রিলিজ করে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়, বিরক্তি কম হয় এবং সারা দিন মনোযোগ ভালো হয়।
লাইফস্টাইল ডেস্ক 





































