রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মামা’ বলায় রাঙ্গুনিয়া উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার হাতে নাজেহাল কৃষক 

লোকন বিশ্বাস

এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো 
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লোকন বিশ্বাসকে ‘স্যার’ না বলে ‘মামা’ বলায় নাজেহালের শিকার হলেন এক কৃষক। শুধু তাই নয় ওই কৃষকের সাথে মারমুখী আচরণও করেন তিনি। বলেন, ‘মামা’ তো ‘রিকসাওয়ালা’ ‘টলিওয়ালা’কে ডাকে মানুষ, আমাকে ‘স্যার’ ডাকবেন।
শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে এই বিব্রতকর ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসে নারিকেলের বীজ আনতে যান পোমরা ইউনিয়নের কৃষক মো. মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরে বিদ্যুৎ না থাকায় কৃষি কার্ড ফটোকপি করতে উপ- সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসের কাছে যান তিনি। এ সময় লোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ বলে ডাকায় ক্ষেপে যান তিনি, এবং গালমন্দসহ মারমুখী আচরণ শুরু করেন। পরে অফিসের অন্যান্য স্টাফদের হস্তক্ষেপে কৃষক রক্ষা পান।
এ ঘটনায় কৃষক মো. মঈন উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পোমরা গোমস্তার পাড়ার কৃষক মো. মঈন উদ্দিনকে স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি অফিসার দিলুয়ারা বেগম টেলিফোনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নারিকেল চারা নেওয়ার জন্য অফিসে আসতে বলেন। কৃষক মঈন উদ্দিন শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা কৃষি অফিসে উপস্থিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসকে মামা সম্বোধন করে এক কপি কৃষি কার্ড ফটোকপি করার অনুরোধ করেন কৃষক মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরের দোকানে বিদ্যুৎ ছিলোনা তাই তিনি এই আবদার করেছিলেন।
কৃষক মঈন উদ্দিন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ সম্ভোধন করায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন, এবং আমাকে মারতে উদ্ধত হয়। পরে উপস্থিত অন্যান্য স্টাফ ও কৃষকরা এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, ‘আমাকে ‘মামা’ না ডাকতে। ‘মামা’ ডাকে কেবল ‘রিক্সাওয়ালা’ ও ‘ভ্যান চালক’কে। আমি তাকে গালাগাল করিনি।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘একজন কৃষককে নাজেহাল করার একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার এ কথা বলা উচিৎ হয়নি। যাই হোক কিছু মনে করবেন না, আমি তাকে বলে দেব। ভবিষ্যতে যেন এটা না করে এবং বিষয়টি আমি দেখছি।’
জনপ্রিয়

শিল্পা শেঠির আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ভাইরাল, নিলেন বড় পদক্ষেপ

‘মামা’ বলায় রাঙ্গুনিয়া উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার হাতে নাজেহাল কৃষক 

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো 
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লোকন বিশ্বাসকে ‘স্যার’ না বলে ‘মামা’ বলায় নাজেহালের শিকার হলেন এক কৃষক। শুধু তাই নয় ওই কৃষকের সাথে মারমুখী আচরণও করেন তিনি। বলেন, ‘মামা’ তো ‘রিকসাওয়ালা’ ‘টলিওয়ালা’কে ডাকে মানুষ, আমাকে ‘স্যার’ ডাকবেন।
শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে এই বিব্রতকর ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসে নারিকেলের বীজ আনতে যান পোমরা ইউনিয়নের কৃষক মো. মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরে বিদ্যুৎ না থাকায় কৃষি কার্ড ফটোকপি করতে উপ- সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসের কাছে যান তিনি। এ সময় লোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ বলে ডাকায় ক্ষেপে যান তিনি, এবং গালমন্দসহ মারমুখী আচরণ শুরু করেন। পরে অফিসের অন্যান্য স্টাফদের হস্তক্ষেপে কৃষক রক্ষা পান।
এ ঘটনায় কৃষক মো. মঈন উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পোমরা গোমস্তার পাড়ার কৃষক মো. মঈন উদ্দিনকে স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি অফিসার দিলুয়ারা বেগম টেলিফোনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নারিকেল চারা নেওয়ার জন্য অফিসে আসতে বলেন। কৃষক মঈন উদ্দিন শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা কৃষি অফিসে উপস্থিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসকে মামা সম্বোধন করে এক কপি কৃষি কার্ড ফটোকপি করার অনুরোধ করেন কৃষক মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরের দোকানে বিদ্যুৎ ছিলোনা তাই তিনি এই আবদার করেছিলেন।
কৃষক মঈন উদ্দিন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ সম্ভোধন করায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন, এবং আমাকে মারতে উদ্ধত হয়। পরে উপস্থিত অন্যান্য স্টাফ ও কৃষকরা এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, ‘আমাকে ‘মামা’ না ডাকতে। ‘মামা’ ডাকে কেবল ‘রিক্সাওয়ালা’ ও ‘ভ্যান চালক’কে। আমি তাকে গালাগাল করিনি।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘একজন কৃষককে নাজেহাল করার একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার এ কথা বলা উচিৎ হয়নি। যাই হোক কিছু মনে করবেন না, আমি তাকে বলে দেব। ভবিষ্যতে যেন এটা না করে এবং বিষয়টি আমি দেখছি।’