
হারুন অর রশিদ, ইবি প্রতিনিধি
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যাতীত সকল কোটা বিলুপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৪জুন) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট ও সহ সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডলসহ শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন,’ জুলাইয়ে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছিল তার মাধ্যমে সরকার পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন। ছাত্র-জনতার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এক বছর পার না হতেই আবার কোটার প্রচলন দেখছি। বিগত সময়ে যেই কোটার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই কোটাগুলো এখনও বহাল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, যেই কোটার জন্য এতগুলো মানুষের প্রাণ হারালো। সেই কোটা যেন অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করা হয়। বিগত বছরগুলোতে কোটাতে যারা ভর্তি হয়েছে তারাই এই ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করেছে। ‘
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন,’ অন্যন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা নিয়ে তারা কি করলো না করলো এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের ইবিতে অযৌক্তিক কোন কোটা থাকবে না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া অন্য কোন কোটা থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অযৌক্তিক কোটা প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,’ জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার যে গণঅভ্যুত্থান তাতে সবাই কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত। জুলাই আন্দোলনের প্রথমেই ছিল কোটার সংস্কারের দাবিতে এবং তা পরবর্তীতে এক দফায় রুপান্তরিত হয়। এই এক দফার মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এই আন্দোলন পরবর্তীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। পূর্বের মতো যদি কোটা থাকে তাহলে যারা আন্দোলন করেছে তাদের সাথে সমন্বয় করে আগামীকালকে প্রশাসন ভবন আমরা ব্লকেড করতে বাধ্য হবো। কালকে সকালের পূর্বে প্রশাসনের যদি বোধদয় হয় তাহলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান বের করবেন।
হারুন অর রশিদ, ইবি প্রতিনিধি 





































