বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিসহ আশপাশের এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে কাউন চাষ

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি 
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর, ইসলামপুর, জঙ্গল, নারুয়া, জামালপুর ও নবাবপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে একটি শুষ্ক সহনশীল ও কম খরচের সুস্বাদু শস্য কাউন চাষ।
সরকারি উদ্যোগ ও বাজার উৎসাহ না থাকায় এ ফসল টিকিয়ে রাখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষিরা।
সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। এক সময় মানুষজন কাউন চাল রান্না করে বিভিন্ন রকমের পিঠা ,খীর, পায়েস , খিচুরী , মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতো। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ নামটি যেনো ইতিহাসের কোনো এক ফসলের নাম । বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি চাষ ও কৃষিতে অধিক ফলন কাউন চাষের প্রয়োজনীয়তা কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছে।
সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে তিন-চার ফসলি উৎপাদন। নতুন প্রজন্মের কাছে এর পরিচিতি ধরে রাখতে কাউন চাষের প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার সত্ত্বেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কাউন ফসলটি আজ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর, বহরপুর, নবাবপুর, জঙ্গল, নারুয়া, জামালপুর ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন থেকে এ ফসলটি বিলুপ্তির পথ ধরেছে।
এই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এক সময় প্রচুর পরিমানে কাউন চাষ হতো। আবার এক সময় গরিবের প্রধান খাদ্যও ছিল এ কাউন। দিনের পর দিন মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এখন আর এসব অঞ্চলে কাউন চাষ হয় না। কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে গেছে।
কাউন চাষ তেমন দেখা না গেলেও কাউনের চালের নানা ধরনের খাবার ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। তাই এটা চাষ করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বললেন কয়েক জন কৃষক । কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভালো সার তৈরি হয়। কাউনের চাল বর্ণে হলুদ।
এর চালের ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু। ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন চালের পায়েসের স্বাদ দারুণ। এ ছাড়া এ চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়। মিষ্টান্ন পায়েস, খীর ও ঝাল খাবার হিসেবে খিচুরি, পোলাও রান্নায় কাউন চাল এখন ধনীদের প্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে।
এটি একটি পুরানো চাষ। এ চাষ করতে পানি ও সার কম লাগে। মানুষজন কাউনের ভাত,পায়েস ও মুড়ি খায়। এছাড়াও কাউন জন্ডিস রোগের উপকার করে। কিন্তু এখন এ উপজেলা থেকে কাউন একেবারেই  হারিয়ে গেছে। এখন খাওয়া জন্য বাজারে কাউন খুঁজলেও পাওয়া যাচ্ছে না।
একসময় কাউন অনেক বেশি চাষ করা হলেও  সময়ের সাথে কাউন চাষ হারিয়ে গেছে। কাউন চাষ যেমন লাভজনক,তেমনি কাউন পুষ্টি গুণে ভরপুর। একসময় আমাদের এলাকায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানোর জন্য কাউন চাষ করা হতো। এছাড়াও শহরের বাজারগুলোতে আমদানী করা কাউনের দাম ভালো। এ প্রজন্ম কাউন কেমন তা চোখের দেখেই নাই ।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, দেশী জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করা উচিত। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটির কথা। কাউন নামের এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
নারুয়া ও জঙ্গলের গড়াই নদীর চরাঞ্চলে একসময়ের পরিচিত ও পুষ্টিকর খাদ্যশস্য কাউন আজ বিলুপ্তির পথ ধরেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কৃষিজীবী মানুষের খাদ্যের অংশ হয়ে থাকা এ শস্য এখন আর চরাঞ্চলের মাঠে আগের মতো দেখা যায় না। উপজেলার প্রত্যন্ত চরের কৃষকরা কাউন চাষ ছেড়ে ঝুঁকছেন বেশি লাভজনক ও উচ্চ ফলনের ফসলের দিকে।
বিগত ৩/৪ দশক আগে জমিতে কাউন চাষ হতো। একসময় যেসব চরভূমিতে সোনালি কাউনের ঢেউ উঠত, সেখানে এখন চাষ হচ্ছে ধান, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা বাণিজ্যিক ফসল।
‘বর্তমান ধারায় পরিবর্তন না এলে এক দশকের মধ্যেই দেশ থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে কাউন। এটি শুধু ফসলচক্রের পরিবর্তন নয়, বরং একটি গ্রামীণ খাদ্য ঐতিহ্যের অবক্ষয়।’
কাউন বা ফক্সটেল মিলেট একটি শুষ্ক সহনশীল ও কম খরচের শস্য। বন্যা বা দুর্ভিক্ষের সময় অনেক গ্রামবাসীর ভরসা ছিল এ ফসল। ধানের তুলনায় কম পানি ও সার লাগে বলে দরিদ্র কৃষকরা সহজে এটি চাষ করতেন। ভাতের বিকল্প হিসেবে এটি খাওয়া হতো। তবে সময় বদলেছে। কৃষকরা এখন লাভের কথা ভাবেন। ‘কাউনে লাভ নেই। বাড়তি উৎপাদন খরচ, শ্রমিকসংকট ও ভোক্তার রুচির পরিবর্তনে কাউন আজ অতীত হতে চলেছে। অনেকেই মনে করেন, এ শস্য এখন আর যুগোপযোগী নয়।
‘এক সময় নিয়মিত কাউনের ভাত খেত কৃষক। শরীরেও শক্তি পাওয়া যেত। এখন সেই স্বাদই ভুলে গেছে মানুষ।’
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন অনেক ভালো হয়। আগের মতো এখন আর কাউন চাষ হয় না। আমি দুইবছর বালিয়াকান্দিতে এসেছি। এসে আর কাউনের চাষ দেখিনি। কাউন একটা বিলুপ্ত প্রায় ফসল। এবার বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পাটের মধ্যে দু’একটি কাউন দেখা গেছে। এর মধ্যে অনেক জমিতে পাটের সাথে সাথি ফসল হিসেবে কাউন ফসলের চাষ করা যেতে পারতো। দেশে এখন দানাদার শস্য বোরো ধান, ভুট্টা,গম সহ বিভিন্ন ফসল লাভজনক ভাবে চাষ হওয়ায়, কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় কাউন এর পরিবর্তনে এসব ফসল চাষ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের এ সময়ে কাউনের মতো খরাসহনশীল ও কম খরচের ফসল অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ ও বাজার উৎসাহ না থাকলে চাষিরা এ ফসল টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী হবেন না।
জনপ্রিয়

৮ কুকুর ছানাকে ডুবিয়ে হত্যা করা নারী গ্রেপ্তার

বালিয়াকান্দিসহ আশপাশের এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে কাউন চাষ

প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি 
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর, ইসলামপুর, জঙ্গল, নারুয়া, জামালপুর ও নবাবপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে গেছে একটি শুষ্ক সহনশীল ও কম খরচের সুস্বাদু শস্য কাউন চাষ।
সরকারি উদ্যোগ ও বাজার উৎসাহ না থাকায় এ ফসল টিকিয়ে রাখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষিরা।
সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। এক সময় মানুষজন কাউন চাল রান্না করে বিভিন্ন রকমের পিঠা ,খীর, পায়েস , খিচুরী , মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতো। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ নামটি যেনো ইতিহাসের কোনো এক ফসলের নাম । বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি চাষ ও কৃষিতে অধিক ফলন কাউন চাষের প্রয়োজনীয়তা কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছে।
সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে তিন-চার ফসলি উৎপাদন। নতুন প্রজন্মের কাছে এর পরিচিতি ধরে রাখতে কাউন চাষের প্রতি মনোযোগ বাড়ানো দরকার বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার সত্ত্বেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কাউন ফসলটি আজ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর, বহরপুর, নবাবপুর, জঙ্গল, নারুয়া, জামালপুর ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন থেকে এ ফসলটি বিলুপ্তির পথ ধরেছে।
এই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এক সময় প্রচুর পরিমানে কাউন চাষ হতো। আবার এক সময় গরিবের প্রধান খাদ্যও ছিল এ কাউন। দিনের পর দিন মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এখন আর এসব অঞ্চলে কাউন চাষ হয় না। কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে গেছে।
কাউন চাষ তেমন দেখা না গেলেও কাউনের চালের নানা ধরনের খাবার ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। তাই এটা চাষ করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বললেন কয়েক জন কৃষক । কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভালো সার তৈরি হয়। কাউনের চাল বর্ণে হলুদ।
এর চালের ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু। ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন চালের পায়েসের স্বাদ দারুণ। এ ছাড়া এ চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়। মিষ্টান্ন পায়েস, খীর ও ঝাল খাবার হিসেবে খিচুরি, পোলাও রান্নায় কাউন চাল এখন ধনীদের প্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে।
এটি একটি পুরানো চাষ। এ চাষ করতে পানি ও সার কম লাগে। মানুষজন কাউনের ভাত,পায়েস ও মুড়ি খায়। এছাড়াও কাউন জন্ডিস রোগের উপকার করে। কিন্তু এখন এ উপজেলা থেকে কাউন একেবারেই  হারিয়ে গেছে। এখন খাওয়া জন্য বাজারে কাউন খুঁজলেও পাওয়া যাচ্ছে না।
একসময় কাউন অনেক বেশি চাষ করা হলেও  সময়ের সাথে কাউন চাষ হারিয়ে গেছে। কাউন চাষ যেমন লাভজনক,তেমনি কাউন পুষ্টি গুণে ভরপুর। একসময় আমাদের এলাকায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানোর জন্য কাউন চাষ করা হতো। এছাড়াও শহরের বাজারগুলোতে আমদানী করা কাউনের দাম ভালো। এ প্রজন্ম কাউন কেমন তা চোখের দেখেই নাই ।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, দেশী জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করা উচিত। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটির কথা। কাউন নামের এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
নারুয়া ও জঙ্গলের গড়াই নদীর চরাঞ্চলে একসময়ের পরিচিত ও পুষ্টিকর খাদ্যশস্য কাউন আজ বিলুপ্তির পথ ধরেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কৃষিজীবী মানুষের খাদ্যের অংশ হয়ে থাকা এ শস্য এখন আর চরাঞ্চলের মাঠে আগের মতো দেখা যায় না। উপজেলার প্রত্যন্ত চরের কৃষকরা কাউন চাষ ছেড়ে ঝুঁকছেন বেশি লাভজনক ও উচ্চ ফলনের ফসলের দিকে।
বিগত ৩/৪ দশক আগে জমিতে কাউন চাষ হতো। একসময় যেসব চরভূমিতে সোনালি কাউনের ঢেউ উঠত, সেখানে এখন চাষ হচ্ছে ধান, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা বাণিজ্যিক ফসল।
‘বর্তমান ধারায় পরিবর্তন না এলে এক দশকের মধ্যেই দেশ থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে কাউন। এটি শুধু ফসলচক্রের পরিবর্তন নয়, বরং একটি গ্রামীণ খাদ্য ঐতিহ্যের অবক্ষয়।’
কাউন বা ফক্সটেল মিলেট একটি শুষ্ক সহনশীল ও কম খরচের শস্য। বন্যা বা দুর্ভিক্ষের সময় অনেক গ্রামবাসীর ভরসা ছিল এ ফসল। ধানের তুলনায় কম পানি ও সার লাগে বলে দরিদ্র কৃষকরা সহজে এটি চাষ করতেন। ভাতের বিকল্প হিসেবে এটি খাওয়া হতো। তবে সময় বদলেছে। কৃষকরা এখন লাভের কথা ভাবেন। ‘কাউনে লাভ নেই। বাড়তি উৎপাদন খরচ, শ্রমিকসংকট ও ভোক্তার রুচির পরিবর্তনে কাউন আজ অতীত হতে চলেছে। অনেকেই মনে করেন, এ শস্য এখন আর যুগোপযোগী নয়।
‘এক সময় নিয়মিত কাউনের ভাত খেত কৃষক। শরীরেও শক্তি পাওয়া যেত। এখন সেই স্বাদই ভুলে গেছে মানুষ।’
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন অনেক ভালো হয়। আগের মতো এখন আর কাউন চাষ হয় না। আমি দুইবছর বালিয়াকান্দিতে এসেছি। এসে আর কাউনের চাষ দেখিনি। কাউন একটা বিলুপ্ত প্রায় ফসল। এবার বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পাটের মধ্যে দু’একটি কাউন দেখা গেছে। এর মধ্যে অনেক জমিতে পাটের সাথে সাথি ফসল হিসেবে কাউন ফসলের চাষ করা যেতে পারতো। দেশে এখন দানাদার শস্য বোরো ধান, ভুট্টা,গম সহ বিভিন্ন ফসল লাভজনক ভাবে চাষ হওয়ায়, কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় কাউন এর পরিবর্তনে এসব ফসল চাষ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের এ সময়ে কাউনের মতো খরাসহনশীল ও কম খরচের ফসল অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ ও বাজার উৎসাহ না থাকলে চাষিরা এ ফসল টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী হবেন না।