মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে পাঁচ কারণে কাঁকরোল খাবেন

ছবি-সংগৃহীত

কাঁকরোল বর্ষাকালের পরিচিত সবজির মধ্যে একটি। হয়তো এই সবজি খুব বেশি জনপ্রিয় নয়, তবে খেতে ভালো এবং এর পুষ্টিগুণও অনন্য। কাঁকরোলের নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং বহু বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী ঔষধে এটি ব্যবহার করা হয়ে আসছে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং প্রদাহ কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করা পর্যন্ত, এই সবজি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সুস্থ জীবনযাপনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে চান? এই বর্ষাকালে আপনার প্লেটে কাঁকরোল রাখুন। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁকরোলের উপকারিতা-

খাদ্যতালিকায় কাঁকরোল যোগ করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং উচ্চ ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁকরোল ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও উন্নত করতে পারে।

লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখে

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কাঁকরোল লিভারের কার্যকারিতাও বজায় রাখে। আমাদের লিভার প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং কাঁকরোল এক্ষেত্রে কিছু উপযুক্ত ব্যাকআপ দিতে পারে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের উপস্থিতি থাকায় তা লিভারের জন্য দুর্দান্ত। নিয়মিত এই সবজি খেলে তা ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

প্রদাহ কমায়

জয়েন্টের ব্যথা হোক বা জ্বর কমাতে কাঁকরোল দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এর নির্যাসে প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই প্রভাবগুলো ফ্ল্যাভোনয়েড এবং স্যাপোনিনের মতো জৈব-সক্রিয় যৌগ থেকে আসে, যা আঘাতের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া শান্ত করতে সাহায্য করে।

হৃদপিণ্ড এবং কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করে

এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কাঁকরোলের প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক প্রভাব অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায় এবং কিডনির উপর চাপ কমাতে পারে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, এটি কোলেস্টেরল কমাতে পারে, কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণ হ্রাস করে হৃদযন্ত্রের জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

ভিটামিন এ হলো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য মূল পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই সবজি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সেবন বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে, যা আপনার চোখকে সুস্থ রাখে।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

যে পাঁচ কারণে কাঁকরোল খাবেন

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

কাঁকরোল বর্ষাকালের পরিচিত সবজির মধ্যে একটি। হয়তো এই সবজি খুব বেশি জনপ্রিয় নয়, তবে খেতে ভালো এবং এর পুষ্টিগুণও অনন্য। কাঁকরোলের নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং বহু বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী ঔষধে এটি ব্যবহার করা হয়ে আসছে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং প্রদাহ কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করা পর্যন্ত, এই সবজি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সুস্থ জীবনযাপনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে চান? এই বর্ষাকালে আপনার প্লেটে কাঁকরোল রাখুন। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁকরোলের উপকারিতা-

খাদ্যতালিকায় কাঁকরোল যোগ করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং উচ্চ ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁকরোল ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও উন্নত করতে পারে।

লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখে

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কাঁকরোল লিভারের কার্যকারিতাও বজায় রাখে। আমাদের লিভার প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং কাঁকরোল এক্ষেত্রে কিছু উপযুক্ত ব্যাকআপ দিতে পারে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের উপস্থিতি থাকায় তা লিভারের জন্য দুর্দান্ত। নিয়মিত এই সবজি খেলে তা ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

প্রদাহ কমায়

জয়েন্টের ব্যথা হোক বা জ্বর কমাতে কাঁকরোল দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এর নির্যাসে প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই প্রভাবগুলো ফ্ল্যাভোনয়েড এবং স্যাপোনিনের মতো জৈব-সক্রিয় যৌগ থেকে আসে, যা আঘাতের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া শান্ত করতে সাহায্য করে।

হৃদপিণ্ড এবং কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করে

এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কাঁকরোলের প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক প্রভাব অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায় এবং কিডনির উপর চাপ কমাতে পারে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, এটি কোলেস্টেরল কমাতে পারে, কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণ হ্রাস করে হৃদযন্ত্রের জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

ভিটামিন এ হলো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য মূল পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এই সবজি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সেবন বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে, যা আপনার চোখকে সুস্থ রাখে।