
এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো
সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নর কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মানববন্ধনে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী সদ্য গ্রেফতারকৃত আ.লীগ নেতা আইয়ুব রিমান্ডে এনে তাঁর অবৈধ অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস শিকদার।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল ৪ টায়চন্দ্রঘোনাস্থ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হাজী ইলিয়াস শিকদার বলেন, “চন্দ্রঘোনার কদমতলী বহু বছর ধরে সন্ত্রাসী আইয়ুবের ভয়ে কাঁপছে। ছাত্র হত্যা, গুলিবর্ষণ, ভূমি দখল, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, অবৈধ বালুমহাল ও চাঁদাবাজির মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ সে প্রকাশ্যে করে এসেছে। গত জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় তার গুলিতে একজন ছাত্র নিহত হয়। এছাড়া ২০২০ সালের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা নির্বাচনের দিন বিএনপি কর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে আহত করে।”
তিনি আরও করেন, “আইয়ুব আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী আইয়ুব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদের সঙ্গে মিলে সংখ্যালঘুদের জমি দখল করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজী ইলিয়াস শিকদার করেন, গত ১০ জুন চন্দ্রঘোনার অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন চলাকালে আইয়ুব ও তাঁর বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এ ঘটনায় মোঃ ইমন, মোঃ রহমত ও মোহাম্মদ রিমন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। “এই বর্বর হামলার পরেও আমি চুপ থাকিনি। আমার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে সাধারণ মানুষের জন্য কথা বলে যাচ্ছি,।
সংবাদ সম্মেলনে হাজী ইলিয়াস প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি জানান, তা হলো আইয়ুবকে রিমান্ডে নিয়ে অস্ত্রভাণ্ডার ও সহযোগীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া। ড. হাছান মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা। সংখ্যালঘুদের দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। চন্দ্রঘোনাকে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা ঘোষণা করে নিয়মিত পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা।
“আমরা শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই, ভয়হীন জীবন চাই। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এই ভয়ঙ্কর অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
এম. মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো 






































