শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপি পেতে পারে যে প্রতীক

ছবি-সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হালনাগাদ প্রতীক তালিকায় ৬৯টি পূর্বের প্রতীকের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৬টি প্রতীক। তবে আলোচিত ‘শাপলা’ প্রতীকটি এই তালিকায় রাখা হয়নি। ফলে কোনো রাজনৈতিক দল এই প্রতীকটি দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ‘প্রহসনমূলক’ ও ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতীক হালনাগাদে গঠিত কমিটি প্রাথমিকভাবে ১৫০টি প্রতীকের তালিকা তৈরি করেছিল। পরে কমিশন কাটছাঁট করে ১১৫টি প্রতীক চূড়ান্ত করে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। ওই তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীকটি রাখা হয়নি।

গত ২০ জুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে এনসিপি। দলটি আবেদনপত্রে প্রতীক পছন্দক্রমে ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ উল্লেখ করে। নতুন তালিকায় কলম ও মোবাইল ফোন থাকলেও শাপলা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলটি।

এনসিপি নেতাদের দাবি, ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় দলটি সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেয়েছে শাপলা, মোবাইল ফোন ও কলম প্রতীকে। তাই এসব প্রতীক চাওয়া হয় জনগণের চাহিদার প্রতিফলন হিসেবেই। কিন্তু শাপলা প্রতীককে বাদ দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে দলটি।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা জানতে চাই, কোন যুক্তিতে শাপলা প্রতীক গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলছে, এটা নাকি জাতীয় প্রতীক। অথচ, শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।’

এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিপি। সিইসির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এনসিপিকে সময় দেওয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তালিকায় ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এর আগে ২২ জুন এনসিপি এবং ১৭ এপ্রিল নাগরিক ঐক্য ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে ও ইসির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে। তবে শেষ পর্যন্ত শাপলা প্রতীক তালিকায় রাখা হয়নি।

জনপ্রিয়

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এনসিপি পেতে পারে যে প্রতীক

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হালনাগাদ প্রতীক তালিকায় ৬৯টি পূর্বের প্রতীকের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ৪৬টি প্রতীক। তবে আলোচিত ‘শাপলা’ প্রতীকটি এই তালিকায় রাখা হয়নি। ফলে কোনো রাজনৈতিক দল এই প্রতীকটি দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ‘প্রহসনমূলক’ ও ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতীক হালনাগাদে গঠিত কমিটি প্রাথমিকভাবে ১৫০টি প্রতীকের তালিকা তৈরি করেছিল। পরে কমিশন কাটছাঁট করে ১১৫টি প্রতীক চূড়ান্ত করে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। ওই তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীকটি রাখা হয়নি।

গত ২০ জুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে এনসিপি। দলটি আবেদনপত্রে প্রতীক পছন্দক্রমে ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ উল্লেখ করে। নতুন তালিকায় কলম ও মোবাইল ফোন থাকলেও শাপলা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলটি।

এনসিপি নেতাদের দাবি, ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় দলটি সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেয়েছে শাপলা, মোবাইল ফোন ও কলম প্রতীকে। তাই এসব প্রতীক চাওয়া হয় জনগণের চাহিদার প্রতিফলন হিসেবেই। কিন্তু শাপলা প্রতীককে বাদ দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে দলটি।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা জানতে চাই, কোন যুক্তিতে শাপলা প্রতীক গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলছে, এটা নাকি জাতীয় প্রতীক। অথচ, শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।’

এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিপি। সিইসির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এনসিপিকে সময় দেওয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতীকের তালিকায় ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি, যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এর আগে ২২ জুন এনসিপি এবং ১৭ এপ্রিল নাগরিক ঐক্য ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে ও ইসির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে। তবে শেষ পর্যন্ত শাপলা প্রতীক তালিকায় রাখা হয়নি।