শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় জুলাই শহীদ দিবসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল

ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি 
জাতীয় জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ১৬ জুলাই , সকাল ১০টায় কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শাহনেয়াজ রিটন, বৈশাখী টিভির ব্যুরোচীফ গোলাম মওলা মুরাদ, ইসলামী টেলিভিমনের সাবেক ব্যুরোচীফ শহীদুল ইসলাম নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, দৈনিক দিনকালের ব্যুরোচীফ হাসান মুকুল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য মোহাম্মদ আলী, দৈনিক কর্ণফুলীর সাবেক সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আলী পাশা, কর্ণফুলী সাংবাদিক মোহাম্মদ তোহা, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরোচীফ জাহাঙ্গীর আলম, এটিএন বাংলার ফরিদ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, ফারুক আবদুল্লাহ, বজল আহমদ, দৈনিক বার্তাকন্ঠের ট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ ইসমাইল ইমন, মো: তানভীর, কামাল পারভেজ, সাইফি আনোয়ার, তুষার মুজিব, তৌহিদুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
জাতীয় জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করো হয়েছে। আল্লাহতায়ালা শহীদদেরকে বেহেশত নসিব করুক। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন এবং দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে।
১৬ জুলাই ২০২৫ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে “জুলাই শহীদ দিবস”। ২০২৪ সালের সেই বিক্ষুব্ধ, রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতিকে সামনে রেখে, যখন অপশাসনের বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের হাতে।
শাসনযন্ত্রের দীর্ঘদিনের নিপীড়ন, প্রতারণা ও দমন যেদিন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। সেই আন্দোলন শুধু একটি শাসকের পতন নয়, ছিল একটি জনগোষ্ঠীর আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক প্রয়াস। সেই প্রয়াস রঞ্জিত হয় আত্মত্যাগে।
আন্দোলনের শহীদরা ছিলেন নিরস্ত্র, কিন্তু ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন অবিচল। তাঁদের সম্মানে আজকের এই দিবস। এটি কেবল একটি সরকারি গেজেটের তারিখ নয়, বরং একটি জনগণের অভিজ্ঞতাকে ইতিহাসে স্থান দেওয়ার সময়োপযোগী সাহসিকতা।
এইদিনে আমরা স্মরণ করি তাদের যারা “জুলাই শহীদ” হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তাদেরও, যাদের নাম আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে, কিন্তু ইতিহাস তাদের কাছে ঋণী। আহতদের রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে “জুলাই যোদ্ধা” হিসেবে, এই স্বীকৃতি শুধু মর্যাদার নয়, দায়িত্বেরও।
শহীদদের জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল পরবর্তী মুনাজাত পরিচালনা করেন কদম মোবারক এতিমখানার হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম। মুনাজাতে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ শান্ত সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত শহীদ, আহত সহ শহীদ,আহত সাংবাদিকদের জন্যও দোয়া করা হয়।
এ ছাড়াও দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন।
জনপ্রিয়

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাতীয় জুলাই শহীদ দিবসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি 
জাতীয় জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ১৬ জুলাই , সকাল ১০টায় কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শাহনেয়াজ রিটন, বৈশাখী টিভির ব্যুরোচীফ গোলাম মওলা মুরাদ, ইসলামী টেলিভিমনের সাবেক ব্যুরোচীফ শহীদুল ইসলাম নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, দৈনিক দিনকালের ব্যুরোচীফ হাসান মুকুল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য মোহাম্মদ আলী, দৈনিক কর্ণফুলীর সাবেক সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আলী পাশা, কর্ণফুলী সাংবাদিক মোহাম্মদ তোহা, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরোচীফ জাহাঙ্গীর আলম, এটিএন বাংলার ফরিদ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, ফারুক আবদুল্লাহ, বজল আহমদ, দৈনিক বার্তাকন্ঠের ট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ ইসমাইল ইমন, মো: তানভীর, কামাল পারভেজ, সাইফি আনোয়ার, তুষার মুজিব, তৌহিদুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
জাতীয় জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করো হয়েছে। আল্লাহতায়ালা শহীদদেরকে বেহেশত নসিব করুক। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন এবং দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে।
১৬ জুলাই ২০২৫ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে “জুলাই শহীদ দিবস”। ২০২৪ সালের সেই বিক্ষুব্ধ, রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতিকে সামনে রেখে, যখন অপশাসনের বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের হাতে।
শাসনযন্ত্রের দীর্ঘদিনের নিপীড়ন, প্রতারণা ও দমন যেদিন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। সেই আন্দোলন শুধু একটি শাসকের পতন নয়, ছিল একটি জনগোষ্ঠীর আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক প্রয়াস। সেই প্রয়াস রঞ্জিত হয় আত্মত্যাগে।
আন্দোলনের শহীদরা ছিলেন নিরস্ত্র, কিন্তু ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন অবিচল। তাঁদের সম্মানে আজকের এই দিবস। এটি কেবল একটি সরকারি গেজেটের তারিখ নয়, বরং একটি জনগণের অভিজ্ঞতাকে ইতিহাসে স্থান দেওয়ার সময়োপযোগী সাহসিকতা।
এইদিনে আমরা স্মরণ করি তাদের যারা “জুলাই শহীদ” হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তাদেরও, যাদের নাম আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে, কিন্তু ইতিহাস তাদের কাছে ঋণী। আহতদের রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে “জুলাই যোদ্ধা” হিসেবে, এই স্বীকৃতি শুধু মর্যাদার নয়, দায়িত্বেরও।
শহীদদের জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল পরবর্তী মুনাজাত পরিচালনা করেন কদম মোবারক এতিমখানার হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম। মুনাজাতে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ শান্ত সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত শহীদ, আহত সহ শহীদ,আহত সাংবাদিকদের জন্যও দোয়া করা হয়।
এ ছাড়াও দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন।