বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার লক্ষ্য সংসদ ভবন: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার লক্ষ্য সংসদ ভবন। বরিশালবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা সে বিজয় অর্জন করবো। আমরা রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী মুক্ত করেই ঘরে ফিরবো। গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় মহানগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে বরিশাল জেলা ও মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে ‘বিচার, সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষে’ পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করে বলেন, কমিশনকে দলীয়করন করা হয়েছে। খুনী ফ্যাসিবাদের প্রতীক এখনো তালিকায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ইনটেনশন ভালো না। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে বোকা বানানো যাবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র এবং সনদ আদায়ের লক্ষ্য আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় মহাসমাবেশে বরিশাল’সহ দেশবাসীর সমস্যা সমাধানের ইস্তেহার ঘোষণার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বলেছি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাস এবং বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। এ সময় নাহিদ ইসলাম বরিশালের স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে নদী ভাঙনে সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসানাত আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা যখন ভোট চোর বলতাম তখন একটি দল মাইন্ড করতো। তিনি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এখন চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ বললে তাদের গায়ে লাগে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে হাসানাত বলেন, আপনারা জনগণকে চেনেন না। জনগণের মনস্তাত্তিক পরিবর্তন হয়েছে। তারা আর কোনো গোলামী চায় না। তারা গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেখেছে, তারা আর গণতন্ত্রের মানস পুত্র দেখতে চায় না।

পথসভায় এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

ঝিকরগাছায় অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার

৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার লক্ষ্য সংসদ ভবন: নাহিদ

প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার লক্ষ্য সংসদ ভবন। বরিশালবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা সে বিজয় অর্জন করবো। আমরা রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী মুক্ত করেই ঘরে ফিরবো। গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় মহানগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে বরিশাল জেলা ও মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে ‘বিচার, সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষে’ পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করে বলেন, কমিশনকে দলীয়করন করা হয়েছে। খুনী ফ্যাসিবাদের প্রতীক এখনো তালিকায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ইনটেনশন ভালো না। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে বোকা বানানো যাবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র এবং সনদ আদায়ের লক্ষ্য আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় মহাসমাবেশে বরিশাল’সহ দেশবাসীর সমস্যা সমাধানের ইস্তেহার ঘোষণার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বলেছি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাস এবং বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। এ সময় নাহিদ ইসলাম বরিশালের স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে নদী ভাঙনে সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসানাত আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা যখন ভোট চোর বলতাম তখন একটি দল মাইন্ড করতো। তিনি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এখন চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ বললে তাদের গায়ে লাগে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে হাসানাত বলেন, আপনারা জনগণকে চেনেন না। জনগণের মনস্তাত্তিক পরিবর্তন হয়েছে। তারা আর কোনো গোলামী চায় না। তারা গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেখেছে, তারা আর গণতন্ত্রের মানস পুত্র দেখতে চায় না।

পথসভায় এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।