
আমলকী বা আমলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ফলটি খালিপেটে খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা শাস্ত্রে দীর্ঘদিন ধরে বিবেচিত। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলোতে আমলকীকে ‘অমৃতফল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে কিছু অসুবিধাও হতে পারে। খালিপেটে আমলকী খেলে শরীরে কী ঘটে চলুন জেনে নেয়া যাক।
খালিপেটে আমলকী খাওয়ার উপকারিতা:
হজমশক্তি উন্নত করে:
খালিপেটে আমলকী খেলে পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের ব্যালান্স ভালো থাকে। বদহজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লিভার পরিষ্কার করে:খালিপেটে খাওয়া আমলকী লিভারকে পরিষ্কার করে এবং ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।
চুল ও ত্বকের জন্য ভালো:
চুল ও ত্বকের জন্য ভালো:
এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। ব্রণ কমায় এবং চুল পড়ে যাওয়া ও অকালে পাকা রোধেও সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:আমলকী রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
খালিপেটে আমলকী খাওয়ার ঝুঁকি, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা
- যাদের গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসারের সমস্যা আছে তাদের জন্য খালিপেটে টক আমলকী খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ এতে সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- খালিপেটে অতিরিক্ত আমলকী খাওয়া উচিৎ না। এটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করতে পারে ফলে অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- অনেকের ঠাণ্ডা-কাশির প্রবণতা বাড়তে পারে। যাদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে তাদের জন্য সতর্কতা আবশ্যক।
খালিপেটে আমলকী খাওয়ার সঠিক উপায়:
সকালবেলা ১টি টাটকা আমলকী বা আধা চামচ শুকনো আমলকী গুঁড়ো হালকা গরম পানির সঙ্গে খেতে পারেন।
চিবিয়ে খেলে পরে কুসুম গরম পানি খাওয়া ভালো।
সতর্কতা:
যদি আপনি আলসার, হাই অ্যাসিডিটি বা কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত খালিপেটে আমলকী খাওয়া উচিত হবে না।
লাইফস্টাইল ডেস্ক 





































