সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে সাপের কামড়ে ৩ জন হাসপাতালে

প্রতীকী ছবি

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় পৃথক স্থানে নারীসহ ৩ ব্যাক্তিকে বিষাক্ত গোখরা সাপে কামড়িয়ে আহত করেছে। রোববার সন্ধ্যা ও সোমবার সকালে উপজেলার কসবামাজাইল ও যশাই ইউনিয়নে সাপে কামরের শিকার ব্যক্তিদের পাংশা উপজেলা  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন- পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের মৃত হাতেম মণ্ডলের ছেলে আজিজ মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের নাদুরিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৫৫) এবং যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের তারেক শেখের ছেলে আসিফ শেখ (১৯)।
সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কৃষক আজিজ মন্ডল বলেন, আজ সকালে পাট জাগ দিচ্ছিলাম। পাটের সাথে একটি সাপের বাচ্চা ছিল, আমি দেখিনি। পাট ধরার সাথে সাথেই সাপের বাচ্চাটি আমার ডান হাতে কামড় দেয়। পরে সাপটিকে কাঁচি দিয়ে মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় সাপটি গোখরা সাপের বাচ্চা।
 হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাসিনা খাতুন বলেন, সকালে ভাত রান্না করার সময় আমার পায়ে পিঁপড়ার মতো কিছু একটা কামড় দেয়। তাকিয়ে দেখি সপের। তখন বাড়ির সবাই সাপটিকে মেরে সাপসহ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসিনা খাতুনের ছেলে বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে সাপের ৩৬টি ডিমের খোষা ও ১৭টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা । ১৯টি সাপের বাচ্চার খোজ পাওয়া যাই নাই। এই বাচ্চাগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বাচ্চাই আমার মাকে কামড় দিয়েছে।
সাপে কামড়ানো আসিফ জানান, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে চর দুর্লভদিয়া ব্রিজে অবস্থান করার সময় তার পায়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা কামড় দেয়। এ সময় সাপটিকে মেরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাপের কামড়ে তিন রোগী হাসপাতালে এসেছে। তারা সবাই বিষধর গোখরা সাপ সাথে করে নিয়ে এসেছে। রোগীদের মধ্যে বিষাক্ত সাপে কাটার লক্ষণ রয়েছে। রোগীদের আমরা পর্যবেক্ষ‌ণে রেখেছি। তবে এখনো রোগীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাই অ্যান্টিস্নেক ভেনম প্রয়োগ করা হয়নি। তাদের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ভেনম প্রয়োগ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে পর্যাপ্ত অ্যান্টিস্নেক ভেনম মজুদ রয়েছে।
জনপ্রিয়

মোংলা বন্দরে সেরা কর্মকর্তার পুরষ্কার পেলেন মাকরুজ্জামান

রাজবাড়ীতে সাপের কামড়ে ৩ জন হাসপাতালে

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় পৃথক স্থানে নারীসহ ৩ ব্যাক্তিকে বিষাক্ত গোখরা সাপে কামড়িয়ে আহত করেছে। রোববার সন্ধ্যা ও সোমবার সকালে উপজেলার কসবামাজাইল ও যশাই ইউনিয়নে সাপে কামরের শিকার ব্যক্তিদের পাংশা উপজেলা  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন- পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের মৃত হাতেম মণ্ডলের ছেলে আজিজ মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের নাদুরিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৫৫) এবং যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের তারেক শেখের ছেলে আসিফ শেখ (১৯)।
সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কৃষক আজিজ মন্ডল বলেন, আজ সকালে পাট জাগ দিচ্ছিলাম। পাটের সাথে একটি সাপের বাচ্চা ছিল, আমি দেখিনি। পাট ধরার সাথে সাথেই সাপের বাচ্চাটি আমার ডান হাতে কামড় দেয়। পরে সাপটিকে কাঁচি দিয়ে মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় সাপটি গোখরা সাপের বাচ্চা।
 হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাসিনা খাতুন বলেন, সকালে ভাত রান্না করার সময় আমার পায়ে পিঁপড়ার মতো কিছু একটা কামড় দেয়। তাকিয়ে দেখি সপের। তখন বাড়ির সবাই সাপটিকে মেরে সাপসহ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসিনা খাতুনের ছেলে বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে সাপের ৩৬টি ডিমের খোষা ও ১৭টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা । ১৯টি সাপের বাচ্চার খোজ পাওয়া যাই নাই। এই বাচ্চাগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বাচ্চাই আমার মাকে কামড় দিয়েছে।
সাপে কামড়ানো আসিফ জানান, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে চর দুর্লভদিয়া ব্রিজে অবস্থান করার সময় তার পায়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা কামড় দেয়। এ সময় সাপটিকে মেরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাপের কামড়ে তিন রোগী হাসপাতালে এসেছে। তারা সবাই বিষধর গোখরা সাপ সাথে করে নিয়ে এসেছে। রোগীদের মধ্যে বিষাক্ত সাপে কাটার লক্ষণ রয়েছে। রোগীদের আমরা পর্যবেক্ষ‌ণে রেখেছি। তবে এখনো রোগীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাই অ্যান্টিস্নেক ভেনম প্রয়োগ করা হয়নি। তাদের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ভেনম প্রয়োগ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে পর্যাপ্ত অ্যান্টিস্নেক ভেনম মজুদ রয়েছে।