
রাজনীতিতে নির্বাচন হলে যাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, তারাই নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘অনন্তকাল ধরে যদি আমরা নির্বাচনকে ফেলে রাখি, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে থাকবে না। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জের তা প্রমাণিত হয়েছে। সেটা ঢাকা শহরে ঘটবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে। এবং নির্বাচিত একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা সমালোচনা করি, তিনি যেন সঠিক পথে থাকে এ জন্য। তার ভাবমূর্তি সারা দেশে আছে এবং সারা বিশ্বে আছে। সেটা ব্যবহার করে দেশ সমৃদ্ধ হবে এটাই বিএনপি মনে করে। তার কাছে আমাদের একটাই প্রত্যাশা যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।’
দুদু বলেন, ‘সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সেই ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারীদের বিচার করা ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। হাসিনা গণহত্যাকারী, এ বিষয়ে দেশে কারও দ্বিমত নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তারাই তো হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশে স্বৈরশাসক প্রতিষ্ঠা করেছিল। হাসিনা শুধু হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী, স্বৈরশাসকই নয়, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। হাসিনা এই দেশটাকে এক ধরনের উপঢৌকন হিসেবে ভারতের কাছে তুলে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিকতা, পররাষ্ট্রনীতি সবকিছু ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল। এ কথা শেখ হাসিনা নিজে স্বীকার করেছিলেন। সুযোগ পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দেশটাকে ভারতের কাছে দিয়ে দিতেন। তাই শেখ হাসিনাকে কোনোভাবে ক্ষমা করা যাবে না। তার বিচার অবশ্যই করতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মনির খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সহ-সভাপতি শিল্পী জেনস সুমন, মহিদুল ইসলাম মামুন ও শরীফুল হাইসহ অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































