মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থাভাবে থেমে আছে বাঁশ ও বেতের পন্যের দক্ষ কারিগর বৃদ্ধ সিরু মিয়ার চিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার- তৌহিদুল ইসলাম সরকার

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আড়াইবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন সিরু (৫৫) এক সময় ছিলেন বাঁশ ও বেতের পণ্যের দক্ষ কারিগর। এখন পায়ের পচনে কর্মক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। চিকিৎসার অভাবে দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। চলাফেরার একমাত্র ভরসা হতে পারত একটি হুইলচেয়ার, কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

জানা গেছে,প্রায় এক বছর আগে সিরু মিয়ার বাম পায়ে পচন ধরা পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করানো হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন সুস্থ থাকলেও বর্তমানে ডান পায়ে পুনরায় পচনের একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছেন না, বিছানায়ই বন্দি হয়ে আছেন।

সিরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাঁশ ও বেতের হস্তশিল্প তৈরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সামান্য আয়ে কোনোমতে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে এখন শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রোজগারের পথ না থাকায় খাবার জোটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চোখে অশ্রু নিয়ে সিরু মিয়া বলেন, চলাফেরা তো দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতেও পারি না। টাকার অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে না। হুইলচেয়ার পেলে অন্তত নিজে নিজে বসে কিছু কাজ করতে পারতাম বা প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারতাম। আমি সমাজের সচ্ছল মানুষদের কাছে সহযোগিতা চাই।

প্রতিবেশী ও স্কুল শিক্ষিকা তাছলিমা আক্তার জানান,গতবার এলাকার লোকজন মিলে ওনার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেছিল। এবারও তার শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তার হাতে নেই।

জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

অর্থাভাবে থেমে আছে বাঁশ ও বেতের পন্যের দক্ষ কারিগর বৃদ্ধ সিরু মিয়ার চিকিৎসা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার- তৌহিদুল ইসলাম সরকার

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আড়াইবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন সিরু (৫৫) এক সময় ছিলেন বাঁশ ও বেতের পণ্যের দক্ষ কারিগর। এখন পায়ের পচনে কর্মক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। চিকিৎসার অভাবে দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। চলাফেরার একমাত্র ভরসা হতে পারত একটি হুইলচেয়ার, কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

জানা গেছে,প্রায় এক বছর আগে সিরু মিয়ার বাম পায়ে পচন ধরা পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করানো হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন সুস্থ থাকলেও বর্তমানে ডান পায়ে পুনরায় পচনের একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছেন না, বিছানায়ই বন্দি হয়ে আছেন।

সিরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাঁশ ও বেতের হস্তশিল্প তৈরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সামান্য আয়ে কোনোমতে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে এখন শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রোজগারের পথ না থাকায় খাবার জোটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চোখে অশ্রু নিয়ে সিরু মিয়া বলেন, চলাফেরা তো দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতেও পারি না। টাকার অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে না। হুইলচেয়ার পেলে অন্তত নিজে নিজে বসে কিছু কাজ করতে পারতাম বা প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারতাম। আমি সমাজের সচ্ছল মানুষদের কাছে সহযোগিতা চাই।

প্রতিবেশী ও স্কুল শিক্ষিকা তাছলিমা আক্তার জানান,গতবার এলাকার লোকজন মিলে ওনার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেছিল। এবারও তার শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তার হাতে নেই।