সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া

ভোগান্তির শেষ নেই, ইউনিয়ন পরিষদের সেবা ও তথ্য বিভাগে

মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
অনেক  ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায়। সেই সকল পরিষদ গুলোতে সরকারি ভাবে  প্রশাসনিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । সেই ধারাবাহিকতায়  গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক নিয়োগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোকনুজ্জামান মিয়া, তার সাথে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এ অবস্থায় তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার   বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে কোন প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এংন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গেলে  মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।আর এভাবেই ঢিলেঢালা ভাবে  চলছে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।
গতকাল দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ  ঘুরে দেখা  গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ওয়ার্ড থেকে অনেক লোকজনের ভীড়। তারা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেওয়ার জন্য আসছেন, কিন্তু তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুখ দুঃখের সাথে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন আপদ বিপদে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সকল প্রকার জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ সবার আগে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। নাগরিকের সুবিধার প্রাকৃতিক জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ,ওয়ারিশ সার্টিফিকেট , চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র ট্রেড লাইসেন্স সহ নানা সনদ  ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে হয়।ইউনিয়ন পরিষদ সরকারের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পেতেও হতদরিদ্রদের ধর্ণা ধরতে হয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে।তবে এ ধরনের সেবা পেতে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। আরজু শেখ , জাহাঙ্গীর,  শফি, ম নামে কয়েক জন ব্যক্তি জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছিলাম একটি নাগরিক সনদ নিতে।ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে শুনলাম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কেউ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা এক লোক বললো দুই তিন দিন পরে আসেন। আমার মত অনেকেই দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে।কিছুই করার নেই আমাদের সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। মালেকা, সিরজিনা, কোহিনুর সহ অনেক মহিলারা বলেন আমাদের সন্তানদের জন্য নিবন্ধন করার জন্য অনেক দিন যাবৎ  ঘোরাঘুরি করছি কোন সুফল পাচ্ছি না। মহিলা গন আরো বলেন  সন্তান জন্ম দেওয়া যতটা কষ্টকর, তার চাইতে বেশি কস্ট হয় সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা। কবে এ ভোগান্তির শেষ হবে আমার জানি না দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো.মেনামুল হোসেন মিন্টু ঢাকায় বিশেষ ট্রেনিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান  জানান,দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকনুজ্জামান মিয়া ছিলেন, কিন্তু তার  মেয়াদ শেষ হওয়া ও বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়ে গেছে । দৌলতদিয়া ইউনিয়নে
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে  এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশ আসলে  আমরা অতি দ্রুত  সময়ের মধ্য  কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে  এ সমস্যার   সমাধান করবে তিনি জানান।
জনপ্রিয়

যশোরে স্বর্ণের বারসহ আটক ১

গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া

ভোগান্তির শেষ নেই, ইউনিয়ন পরিষদের সেবা ও তথ্য বিভাগে

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
অনেক  ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায়। সেই সকল পরিষদ গুলোতে সরকারি ভাবে  প্রশাসনিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । সেই ধারাবাহিকতায়  গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক নিয়োগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোকনুজ্জামান মিয়া, তার সাথে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এ অবস্থায় তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার   বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে কোন প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এংন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গেলে  মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।আর এভাবেই ঢিলেঢালা ভাবে  চলছে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।
গতকাল দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ  ঘুরে দেখা  গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ওয়ার্ড থেকে অনেক লোকজনের ভীড়। তারা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নেওয়ার জন্য আসছেন, কিন্তু তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুখ দুঃখের সাথে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন আপদ বিপদে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সকল প্রকার জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ সবার আগে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। নাগরিকের সুবিধার প্রাকৃতিক জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ,ওয়ারিশ সার্টিফিকেট , চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র ট্রেড লাইসেন্স সহ নানা সনদ  ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে হয়।ইউনিয়ন পরিষদ সরকারের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পেতেও হতদরিদ্রদের ধর্ণা ধরতে হয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে।তবে এ ধরনের সেবা পেতে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। আরজু শেখ , জাহাঙ্গীর,  শফি, ম নামে কয়েক জন ব্যক্তি জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছিলাম একটি নাগরিক সনদ নিতে।ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে শুনলাম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কেউ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা এক লোক বললো দুই তিন দিন পরে আসেন। আমার মত অনেকেই দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে।কিছুই করার নেই আমাদের সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। মালেকা, সিরজিনা, কোহিনুর সহ অনেক মহিলারা বলেন আমাদের সন্তানদের জন্য নিবন্ধন করার জন্য অনেক দিন যাবৎ  ঘোরাঘুরি করছি কোন সুফল পাচ্ছি না। মহিলা গন আরো বলেন  সন্তান জন্ম দেওয়া যতটা কষ্টকর, তার চাইতে বেশি কস্ট হয় সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা। কবে এ ভোগান্তির শেষ হবে আমার জানি না দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো.মেনামুল হোসেন মিন্টু ঢাকায় বিশেষ ট্রেনিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান  জানান,দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকনুজ্জামান মিয়া ছিলেন, কিন্তু তার  মেয়াদ শেষ হওয়া ও বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়ে গেছে । দৌলতদিয়া ইউনিয়নে
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে  এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশ আসলে  আমরা অতি দ্রুত  সময়ের মধ্য  কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে  এ সমস্যার   সমাধান করবে তিনি জানান।