
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্তে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর সংঘর্ষ চলছেই, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে এবং বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। শুক্রবারও (২৫ জুলাই) দুই দেশের সেনাবাহিনী ভারী কামান ও রকেট দিয়ে একে অপরের দিকে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই সংঘর্ষ শুরু হয় গত ২৩ জুলাই থাই সেনাবাহিনীর একজন সদস্য সাম্প্রতিক একটি ল্যান্ডমাইনে পা হারান, যা থাইল্যান্ড দাবি করেছে কাম্বোডিয়ার সৈন্যরা পুঁতে রেখেছিল। তবে কাম্বোডিয়া এই অভিযোগ “ভিত্তিহীন” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠে এবং ২৪ ও ২৫ জুলাই ভারী কামান ও রকেটের হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে, যা সীমান্ত বরাবর প্রায় ১৩০ মাইল এলাকাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার, থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি ও সুরিন প্রদেশে কাম্বোডিয়ার সেনারা বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ও ভারী কামান দিয়ে হামলা চালায়। এর জবাবে থাই সেনারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই গোলাগুলির কারণে থাইল্যান্ডে এক লাখের বেশি মানুষ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং সশস্ত্র সেনাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৩ জন সাধারণ মানুষ। আহতের মধ্যে সেনা ও বেসামরিক উভয়ই রয়েছেন। কাম্বোডিয়ার ওদ্দার মেঞ্চি প্রদেশ থেকে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন, পাশাপাশি প্রায় ১৫০০ পরিবার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তথ্যসূত্র : রয়টার্স
আন্তআন্তর্জাতিক ।। 







































