
জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে শনিবার আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, দেশে এখন একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা চলছে এবং কিছু কিছু রাজনৈতিক দল পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন করার প্রস্তাব করছে, কিন্তু তারা জানে না পিআর পদ্ধতি আসলে কী।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আনুপাতিক নির্বাচন কী, এটা জনগণ বোঝে না। আমি মনে করি, কিছু রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে না।” তিনি আরো জানান, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে সংকটাপন্ন, এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে দেশটি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যে ক্ষতি আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য করেছে, তা পূরণ হওয়া সহজ নয়। বিচার বিভাগ, আইন, স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গেছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে।
সংস্কারের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ভিশন টুয়েন্টিথার্টি ঘোষণা করেছিলেন এবং তার ছেলে তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।”
তিনি আরো বলেন, “সংস্কার কখনোই একদিনে হয় না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যদি আপনি চান, কালকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে, এটি বাস্তবসম্মত নয়। তবে আমাদের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে পুলিশ ঘুষ না নেয়।” তিনি উল্লেখ করেন, “আমলাতন্ত্র বর্তমানে উন্নয়নের পথে বড় বাধা।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “দেশ পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধি দরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করা অপরিহার্য। যদি নির্বাচন না হয়, তবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব কিভাবে হবে? আর সংসদে না গেলে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কী করে?
তিনি শেষ করেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সততা। বিএনপি যদি জনগণের কাছে দাঁড়াতে চায়, তবে তাদের আগে নিজেকে সৎ হতে হবে। বর্তমান সময়ের খবরে, যে বিষয়গুলো বিএনপির সঙ্গে যায় না, তা আসলে জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরিপন্থী।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































