
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনে রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে নিয়মিত রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করে। মারামারি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত, মাদক সেবন, চাঁদা দাবিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড লিপ্ত । এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন এবং এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ রবিউল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ন থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় জনগন।
গত শুক্রবার,শনিবার ও রোববার (২৭ জুলাই) রাতে ৯জনকে সহ কিশোর অপরাধী সন্দেহে ২৯ জনকে আটক করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। পরে এদের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের লুধুয়া রসুলপুর ব্রিজের উপর, চান্দ্রাকান্দি বেড়িবাঁধ, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র্র, সুগন্ধী, এখলাছপুর বেড়ীবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকা বিচরণ করে কিশোর গ্যাংরা।
এমনকি মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে মোটরসাইকেল রেখে আড্ডা দিতে দেখা যায় তাদের। মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায়ও এ বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে।
সম্প্রতি উপজেলার বেলতলী এলাকায় মোফাজ্জল হোসেন নামের একজন পথচারী রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বলতেই তার ওপর আক্রমণ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত এক মাসে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দ্বারা আহত হয়েছে ১০/১২ জন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার সাহস পায়নি ভুক্তভোগীরা।
বাগানবাড়ি ইউনিয়নের কালির বাজারের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য এসে টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিতে চাওয়ায় হাতে থাকা হেলমেট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে কিশোর গ্যাংয়ের ওই সদস্য। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা। আশপাশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান।
ঊুড়রপ
উপজেলার হরিনা এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘এলাকায় ইদানীং চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মোবাইল চুরি হচ্ছে বেশি। দিনের বেলায়ও বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে চোর ও কিশোর গ্যাংয়ের আতঙ্কে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ রবিউল হক বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গত শুক্রবার,শনিবার ও রোববার (২৭ সজুলাই) ৯ জনকে রাতে কিশোর অপরাধী সন্দেহে ২৯ জন আটক করেছি। পরে এদের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি অীভভাবকদের সন্ধ্যারপর তাদের সন্তানদের বিনা কারণে ঘরের বাহিরে যেন না বের হয় সেপ্যারে অভিভাবকদেরকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ 




























