বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই আলো আর নেই

ছবি-সংগৃহীত

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই স্কুল শিক্ষার্থী সাথিয়া জান্নাত আলো (১৩)। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটো) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শিক্ষার্থী আলো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাবু মিয়ার মেয়ে।

জানা গেছে, গত ২১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটো)তে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাথিয়া মারা যান।

সাথিয়ার বড় বোন আখি আক্তার বলেন, ২১ জুলাই সকালে হাসিমুখে আলো বাড়ি থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ে যায়। দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ভবন থকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়। আজ আলোর জীবন প্রদীপ নিভে গেল ওই শিক্ষকের কারণে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় সাথিয়ার চাচা আবুল কালাম উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে দায়ী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ 

৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই আলো আর নেই

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ছয় তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই স্কুল শিক্ষার্থী সাথিয়া জান্নাত আলো (১৩)। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটো) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শিক্ষার্থী আলো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাবু মিয়ার মেয়ে।

জানা গেছে, গত ২১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটো)তে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাথিয়া মারা যান।

সাথিয়ার বড় বোন আখি আক্তার বলেন, ২১ জুলাই সকালে হাসিমুখে আলো বাড়ি থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ে যায়। দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ভবন থকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়। আজ আলোর জীবন প্রদীপ নিভে গেল ওই শিক্ষকের কারণে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় সাথিয়ার চাচা আবুল কালাম উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে দায়ী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।