মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ুর অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে সুন্দরবন বাঁচাও 

মারুফ বাবু, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনকে বাঁচাও। বিষযুক্ত পানি পান করে বাঘ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগকারী ও বাঘ পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী বাঘ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা চাই।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় মোংলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিশ্ব বাঘ দিবসে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী’র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কোহিনূর সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাহ্ আলম শেখ, ওয়াইল্ড টিমের সাইফুল ইসলাম, জেলে সমিতির আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, মেহেদী হাসান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, বাঘ আমাদের শৌর্য্য-বীর্জের প্রতীক, সাহসের প্রতীক। জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল লোগো হচ্ছে বাংলার বাঘ। বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ আমাদের অহংকার। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, গত ২৫ বছরে ৩০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১০টি বাঘের। ১৪টি বাঘ পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় মানুষ। বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে আমাদের সবাইকে বাঘ বন্ধু হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী বলেন, “বাঘের বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি” শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করছি। সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের পর্যটকরা এখন প্রতিনয়ত বাঘ দেখে থাকেন। বাঘ রক্ষায় বনজীবী ও বন সংলগ্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এর আগে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে “সুন্দরবনের বাঘ” বিষয়ক শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে সরকারি চাল আটক–অভিযোগের মুখে ট্যাগ কর্মকর্তা

জলবায়ুর অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে সুন্দরবন বাঁচাও 

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
মারুফ বাবু, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনকে বাঁচাও। বিষযুক্ত পানি পান করে বাঘ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগকারী ও বাঘ পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী বাঘ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা চাই।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় মোংলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিশ্ব বাঘ দিবসে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী’র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কোহিনূর সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাহ্ আলম শেখ, ওয়াইল্ড টিমের সাইফুল ইসলাম, জেলে সমিতির আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, মেহেদী হাসান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, বাঘ আমাদের শৌর্য্য-বীর্জের প্রতীক, সাহসের প্রতীক। জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল লোগো হচ্ছে বাংলার বাঘ। বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ আমাদের অহংকার। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, গত ২৫ বছরে ৩০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১০টি বাঘের। ১৪টি বাঘ পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় মানুষ। বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে আমাদের সবাইকে বাঘ বন্ধু হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী বলেন, “বাঘের বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি” শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করছি। সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের পর্যটকরা এখন প্রতিনয়ত বাঘ দেখে থাকেন। বাঘ রক্ষায় বনজীবী ও বন সংলগ্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এর আগে “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে “সুন্দরবনের বাঘ” বিষয়ক শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।