মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪ জন নিহত, একজন মৌলভীবাজারের

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউর কর্পোরেট ভবনে এক বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত ও পাঁচজনের বেশি আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওআইপিডি) তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা ৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেন তামুরা নামের ২৭ বছরের এক যুবক এ হামলা চালায়।
এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা ঘটানোর এক ঘণ্টা আগে শেন তামুরা লাস ভেগাস থেকে নিউইয়র্কে আসেন। তামুরা বহুতল কর্পোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিক তদন্তে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দিদারুল ইসলাম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন।
এনওয়াইপিডির ইন্সপেক্টর খন্দকার আবদুল্লাহ বলেন, দিদারুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে সৎ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তাঁর পরিবারে মা–বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। তাঁর স্ত্রী এখন সন্তানসম্ভবা। ব্রংস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রংসের ৪৭ প্রিসেন্ট। সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর জানাজা হতে পারে বলে জানা যায়।
দিদারুলের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় বলে জানান তিনি।
খন্দকার আবদুল্লাহ আরও বলেন, হামলায় দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিবার সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দিদারুল ইসলামই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পিতা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাড়ী হয়ে আছে পরিবেশ।
জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪ জন নিহত, একজন মৌলভীবাজারের

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউর কর্পোরেট ভবনে এক বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত ও পাঁচজনের বেশি আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওআইপিডি) তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা ৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেন তামুরা নামের ২৭ বছরের এক যুবক এ হামলা চালায়।
এনওয়াইপিডির কমিশনার জেসিকা টিশ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা ঘটানোর এক ঘণ্টা আগে শেন তামুরা লাস ভেগাস থেকে নিউইয়র্কে আসেন। তামুরা বহুতল কর্পোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিক তদন্তে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দিদারুল ইসলাম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন।
এনওয়াইপিডির ইন্সপেক্টর খন্দকার আবদুল্লাহ বলেন, দিদারুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে সৎ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তাঁর পরিবারে মা–বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। তাঁর স্ত্রী এখন সন্তানসম্ভবা। ব্রংস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রংসের ৪৭ প্রিসেন্ট। সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর জানাজা হতে পারে বলে জানা যায়।
দিদারুলের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় বলে জানান তিনি।
খন্দকার আবদুল্লাহ আরও বলেন, হামলায় দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিবার সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দিদারুল ইসলামই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পিতা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাড়ী হয়ে আছে পরিবেশ।