মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬টি ছাগল নিখোঁজ, পিটিয়ে হত্যা অজগরকে

ছবি-সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী বড়লেখা উপজেলার বোবারথল গ্রামে একে একে ছয়টি ছাগল গিলে খাওয়ার অভিযোগে একটি অজগরকে গ্রামবাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, একটি অজগর সাপকে হত্যার পর সেটিকে ঘিরে স্থানীয় লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশে একটি মৃত ছাগল পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সবার হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে বোবরথল (করইছড়া) গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে একে একে ৬টি ছাগল নিখোঁজ হয়। এলাকার লোকজন শুরুতে ধারণা করেছিলেন ছাগলগুলো হয়ত চুরি হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন দেখতে পান একটি বিশাল আকৃতির অজগর একটি ছাগল গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে লাঠি ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অজগরটিকে ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে সাপটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন।

দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, শুনেছি বোবরথল (করইছড়া) গ্রামের লোকজনের কয়েকটি ছাগল খেয়ে ফেলে অজগরটি। ঘটনার সময় একটি ছাগল খাচ্ছিল সাপটি। সেটি দেখে স্থানীয়রা অজগর সাপটিকে মেরে ফেলেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবেশকর্মী সাঈব আহমদ ইয়াসের বলেন, বন্যপ্রাণী পরিবেশের অংশ। তারা আমাদের শত্রু নয়। একটি ছাগল খাওয়াকে কেন্দ্র করে অজগরের মতো একটি সাপকে পিটিয়ে মারা সত্যিই দুঃখজনক। এটি শুধু অমানবিক নয়, আইনগত অপরাধ। বনবিভাগের উচিত দুর্গম এলাকায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করা। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা থামানো সম্ভব হবে না।

বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. রেজাউল মৃধা বলেন, ঘটনাটি শুনে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এবিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না বেগম জিয়া

৬টি ছাগল নিখোঁজ, পিটিয়ে হত্যা অজগরকে

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী বড়লেখা উপজেলার বোবারথল গ্রামে একে একে ছয়টি ছাগল গিলে খাওয়ার অভিযোগে একটি অজগরকে গ্রামবাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, একটি অজগর সাপকে হত্যার পর সেটিকে ঘিরে স্থানীয় লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশে একটি মৃত ছাগল পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সবার হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে বোবরথল (করইছড়া) গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে একে একে ৬টি ছাগল নিখোঁজ হয়। এলাকার লোকজন শুরুতে ধারণা করেছিলেন ছাগলগুলো হয়ত চুরি হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন দেখতে পান একটি বিশাল আকৃতির অজগর একটি ছাগল গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে লাঠি ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অজগরটিকে ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে সাপটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন।

দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, শুনেছি বোবরথল (করইছড়া) গ্রামের লোকজনের কয়েকটি ছাগল খেয়ে ফেলে অজগরটি। ঘটনার সময় একটি ছাগল খাচ্ছিল সাপটি। সেটি দেখে স্থানীয়রা অজগর সাপটিকে মেরে ফেলেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবেশকর্মী সাঈব আহমদ ইয়াসের বলেন, বন্যপ্রাণী পরিবেশের অংশ। তারা আমাদের শত্রু নয়। একটি ছাগল খাওয়াকে কেন্দ্র করে অজগরের মতো একটি সাপকে পিটিয়ে মারা সত্যিই দুঃখজনক। এটি শুধু অমানবিক নয়, আইনগত অপরাধ। বনবিভাগের উচিত দুর্গম এলাকায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করা। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা থামানো সম্ভব হবে না।

বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. রেজাউল মৃধা বলেন, ঘটনাটি শুনে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এবিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।