
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বণ্টনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই প্রকল্পে ৭ হাজার উপকারভোগীর প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে বিকাশে দেয়া হয়েছে। তবে খুজ নিয়ে দেখা গেছে, তালিকায় একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, এমনকি ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী’র নামও অন্তর্ভুক্ত করার তথ্য পাওয়া যায়। অনেক প্রকৃত শ্রমিক টাকা না পেলেও পঞ্চায়েত নেতাদের আত্মীয়রা একাধিকবার টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন শ্রমিক জানান, তার তথ্য এন আইডি ব্যবহার করে অন্যজন টাকা তুলেছে। নাম একজনের বিকাশ নম্বর অন্যজনের। একাধিক শ্রমিক জানান, তার নামে টাকা এলেও পাশের বাড়ির লোক সেটি তুলে নিয়ে আমাকে ২ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা রেখে দিয়েছে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগান ও মিরতিংগা চা-বাগান পঞ্চায়েত নেতাদের পরিবারের ৭–৮ জন সদস্যের নাম তালিকায় রয়েছে। তাদের সাথে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। মিরতিংগা চা-বাগান সভাপতির পরিবারের ৯-১০ জনের নাম সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছে।
জানা যায় বিষয়টি জানাজানি হলে মিরতিংগা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মন্টু অলমিক মীমাংসার জন্য বিভিন্ন জনের ধারে ধারে ঘুরছেন।
এব্যপারে মিরতিংগা চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মন্টু অলমিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: 







































