সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে বজ্রপাতে ১১ মহিষের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের বাথানের ১১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার-খারিজারথাক মাঠের পদ্মার চর এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। এতে দুই কৃষকের প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে চরাঞ্চলে থাকা মহিষের বাথানে বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতে মারা যায় নবীর উদ্দিনের ১০টি ও এলাহী ঢালির ১টি মহিষ। তারা দুজনই চরাঞ্চলের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

চিলমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, রাতভর বৃষ্টির সময় পদ্মার চরের উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় মহিষগুলো বজ্রপাতের শিকার হয়। ওই স্থানে আরও প্রায় ৩০০ মহিষ ছিল, যার মালিক ২২ জন। তবে ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র নবীর উদ্দিন ও এলাহী ঢালির।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, এ ঘটনায় কৃষকদের প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নবীর উদ্দিনের সবগুলো মহিষই মারা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এলাহী ঢালি জানান, আমার একটিসহ ভাই নবীর উদ্দিনের ১০টি মহিষ মারা গেছে। এতগুলো মৃত মহিষ দাফনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তাই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে অনেক উপকার হতো।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে নিহত মহিষগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ এলে তা দ্রুত তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে বজ্রপাতে ১১ মহিষের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের বাথানের ১১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার-খারিজারথাক মাঠের পদ্মার চর এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। এতে দুই কৃষকের প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে চরাঞ্চলে থাকা মহিষের বাথানে বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতে মারা যায় নবীর উদ্দিনের ১০টি ও এলাহী ঢালির ১টি মহিষ। তারা দুজনই চরাঞ্চলের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

চিলমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, রাতভর বৃষ্টির সময় পদ্মার চরের উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় মহিষগুলো বজ্রপাতের শিকার হয়। ওই স্থানে আরও প্রায় ৩০০ মহিষ ছিল, যার মালিক ২২ জন। তবে ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র নবীর উদ্দিন ও এলাহী ঢালির।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, এ ঘটনায় কৃষকদের প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নবীর উদ্দিনের সবগুলো মহিষই মারা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এলাহী ঢালি জানান, আমার একটিসহ ভাই নবীর উদ্দিনের ১০টি মহিষ মারা গেছে। এতগুলো মৃত মহিষ দাফনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তাই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে অনেক উপকার হতো।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে নিহত মহিষগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ এলে তা দ্রুত তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।