
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সৈয়ারপুর রিয়াছত উল্লাহ সড়কস্থ আবাসিক এলাকায় জনৈক সৌদি প্রবাসী জালাল আহমেদের মালিকানাধীন ৭তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মানে ঠিকাদার আব্দুল হালিমের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী, মারধরের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিল্ডিং নির্মানের মালামাল রাখার টিন শেডের ঘরটি দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ।
গত ২৭ মার্চ মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১নং আমলী আদালতে (সিআর মামলা নং-১০১/;২০২৫ইং ( সদর)-এ কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনউষার ইউনিয়ন এর আব্দুল খালিকের পুত্র মো: আক্কাছ মিয়া (৪৫)-কে অভিযুক্ত করে অনুসন্ধান শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার এজাহার সুত্রের বরাতে জানা গেছে- জনৈক সৌদি প্রবাসী জালাল আহমেদের মালিকানাধীন শ্যামলী রোডস্থ আবাসিক এলাকায় ৭তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মানে ঠিকাদার আব্দুল হালিম চুক্তিনামার মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গত ২৫শে জানুয়ারী সকাল ১১ ঘটিকার দিকে, বিবাদী মো: আক্কাছ মিয়া আরোও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা লোক সাথে নিয়ে উক্ত কাজটি বন্ধ করতে বলেন। এবং কাজ শুরু করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী পূরণ করে শুরু করার কথা বলেন।
দাবীকৃত টাকা না দিলে প্রানে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় লোকজন ঠিকাদার আব্দুল হালিমকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
উক্ত ঘটনাটি ভূমির মালিক সৌদি প্রবাসী জালাল আহমদকে অবহিত করা হলে, তিনি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠিকাদার আব্দুল হালিমকে পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঠিকাদার নিজে বাদী হয়ে- মো: আক্কাছ মিয়া (৪৫) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে অভিযুক্তের আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১নং আমলী আদালতে (সিআর মামলা নং- ১০১/;২০২৫ইং (সদর) মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে বিগত দিনের জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: 







































