বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার পরও সরকার ক্ষমতায় থাকে কি করে

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট না হলে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার পরও সরকার ক্ষমতায় থাকে কি করে? যদি এই সরকার সত্যিকারের জনবান্ধব হতো, তাহলে অস্ত্রের ম্যাগজিন এয়ারপোর্টে পাওয়ার পরপরই অপসারিত হতো সেই উপদেষ্টা, মানি স্ক্যামের সংবাদ গণমাধ্যমের আসার পরও সরানো হতো তথ্য উপদেষ্টাকে। কিন্তু তা হয়নি, কারণ আগের সরকারের চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে ছাত্র-যুব-জনতার একাংশের সমর্থনে গড়া অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রেস সচিবসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা।

৯ আগস্ট বিকেলে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সহিংতা বৃদ্ধির পথেই সাংবাদিক খুন : উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।  সভাপতির বক্তব্যে মোমিন মেহেদী আরো বলেন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মত বরেণ্য শিক্ষককে শেখ হাসিনার আমলের একটা মামলায় গ্রেফতার করা হলো, অথচ দেশে সহিংসতা উশকে দেয়া শত শত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করে দিব্যি আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে- আমরা জাহেলিয়াতের যুগে চলে এসেছি। ধর্ষণ-খুনের সংবাদ দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ না করার জন্য নিদের্শনা দেয়া, টিভি-চ্যানেলগুলোতে নাবালক ছেলেপুলেদেরকে টক- শোর নামে বেয়াদবির আখড়াস্থল বানাবার ব্যবস্থা করে দেয়া কি স্বৈরাচারি-ফ্যাসিজম নয়। আমরা এক স্বৈরাচারের খপ্পড় থেকে বাঁচতে আরেক স্বৈরাচারের খপ্পড়ে পড়ে না পারছি বাঁচতে, না পারছি মরতে। তিনি এসময় আরো বলেন, নির্মমতার রাজনীতি-প্রশাসননীতি-ক্ষয়ে যাওয়া অর্থনীতির কারণে দেশের মানুষের আজ যায় পরাণ কাউয়ার চর অবস্থা। তারা বাঁচার আকুতি নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

জনপ্রিয়

দেশের উদ্দেশ্যে বাসভবন ছাড়লেন তারেক রহমান

সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার পরও সরকার ক্ষমতায় থাকে কি করে

প্রকাশের সময় : ০৮:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট না হলে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার পরও সরকার ক্ষমতায় থাকে কি করে? যদি এই সরকার সত্যিকারের জনবান্ধব হতো, তাহলে অস্ত্রের ম্যাগজিন এয়ারপোর্টে পাওয়ার পরপরই অপসারিত হতো সেই উপদেষ্টা, মানি স্ক্যামের সংবাদ গণমাধ্যমের আসার পরও সরানো হতো তথ্য উপদেষ্টাকে। কিন্তু তা হয়নি, কারণ আগের সরকারের চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে ছাত্র-যুব-জনতার একাংশের সমর্থনে গড়া অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রেস সচিবসহ অধিকাংশ উপদেষ্টা।

৯ আগস্ট বিকেলে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সহিংতা বৃদ্ধির পথেই সাংবাদিক খুন : উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।  সভাপতির বক্তব্যে মোমিন মেহেদী আরো বলেন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মত বরেণ্য শিক্ষককে শেখ হাসিনার আমলের একটা মামলায় গ্রেফতার করা হলো, অথচ দেশে সহিংসতা উশকে দেয়া শত শত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করে দিব্যি আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে- আমরা জাহেলিয়াতের যুগে চলে এসেছি। ধর্ষণ-খুনের সংবাদ দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ না করার জন্য নিদের্শনা দেয়া, টিভি-চ্যানেলগুলোতে নাবালক ছেলেপুলেদেরকে টক- শোর নামে বেয়াদবির আখড়াস্থল বানাবার ব্যবস্থা করে দেয়া কি স্বৈরাচারি-ফ্যাসিজম নয়। আমরা এক স্বৈরাচারের খপ্পড় থেকে বাঁচতে আরেক স্বৈরাচারের খপ্পড়ে পড়ে না পারছি বাঁচতে, না পারছি মরতে। তিনি এসময় আরো বলেন, নির্মমতার রাজনীতি-প্রশাসননীতি-ক্ষয়ে যাওয়া অর্থনীতির কারণে দেশের মানুষের আজ যায় পরাণ কাউয়ার চর অবস্থা। তারা বাঁচার আকুতি নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।