বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাবি-ননদের পিটুনিতে প্রাণ গেল গৃহবধূর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাসুর, ভাবি ও ননদের পিটুনিতে গতকাল রবিবার সকালে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিতে ভাসুরসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন খোদ ওই গৃহবধূর স্বামী আজিম উদ্দিন। গৃহবধূর নাম সানজিদা আক্তার (১৯)।

চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখের কোনার পাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে রোববার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পিটুনির পর অবস্থা বেগতিক দেখে ওই গৃহবধূর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরই গৃহবধূর চার ভাসুর, তাদের স্ত্রী ও ননদেরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

স্বামীর অভিযোগ দ্বিতীয় দফায় পিটুনির পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তার স্ত্রী। স্বামী আজিম উদ্দিন ভিডিও বক্তব্যে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, গত শনিবার সকালে তাদের দুই বছরের সন্তান সিফাত মিয়া উঠানে মলত্যাগ করে। এ নিয়ে সানজিদার সঙ্গে বড় ভাই হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী মিনা আক্তারের তর্কবিতর্ক হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বড় ভাই হেলাল উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, আলাউদ্দিন, সালাহ উদ্দিন এবং ভাবি ও বোন জেসমিন মিলে লাঠিসোঁটা দিয়ে তাদের দুজনকে (স্বামী–স্ত্রী) মারধর করেন। এরপরও তা তারা মেনে নেন।

আজিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে কাজে যাওয়ার পর স্ত্রী ফোন করে জানায়, তারা মিলে তাকে মারধরের চেষ্টা করছে এবং ধারালো কিরিচ দিয়ে বসতঘরে আঘাত করছে। এরপর ফোন কেটে যায়। পরে জানতে পারি স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি স্ত্রী আর বেঁচে নেই। আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস বলেন, গৃহবধূর স্বামীর দাবি অনুযায়ী এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভাবি-ননদের পিটুনিতে প্রাণ গেল গৃহবধূর

প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাসুর, ভাবি ও ননদের পিটুনিতে গতকাল রবিবার সকালে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিতে ভাসুরসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন খোদ ওই গৃহবধূর স্বামী আজিম উদ্দিন। গৃহবধূর নাম সানজিদা আক্তার (১৯)।

চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখের কোনার পাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে রোববার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পিটুনির পর অবস্থা বেগতিক দেখে ওই গৃহবধূর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পরই গৃহবধূর চার ভাসুর, তাদের স্ত্রী ও ননদেরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

স্বামীর অভিযোগ দ্বিতীয় দফায় পিটুনির পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তার স্ত্রী। স্বামী আজিম উদ্দিন ভিডিও বক্তব্যে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, গত শনিবার সকালে তাদের দুই বছরের সন্তান সিফাত মিয়া উঠানে মলত্যাগ করে। এ নিয়ে সানজিদার সঙ্গে বড় ভাই হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী মিনা আক্তারের তর্কবিতর্ক হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বড় ভাই হেলাল উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, আলাউদ্দিন, সালাহ উদ্দিন এবং ভাবি ও বোন জেসমিন মিলে লাঠিসোঁটা দিয়ে তাদের দুজনকে (স্বামী–স্ত্রী) মারধর করেন। এরপরও তা তারা মেনে নেন।

আজিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে কাজে যাওয়ার পর স্ত্রী ফোন করে জানায়, তারা মিলে তাকে মারধরের চেষ্টা করছে এবং ধারালো কিরিচ দিয়ে বসতঘরে আঘাত করছে। এরপর ফোন কেটে যায়। পরে জানতে পারি স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি স্ত্রী আর বেঁচে নেই। আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস বলেন, গৃহবধূর স্বামীর দাবি অনুযায়ী এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।