সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যা বলছে বিএনপি

ছবি-সংগৃহীত

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। আইনগত বৈধতা আগামী সংসদের হাতে রাখায় ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। তবে, ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বিতর্ক এড়াতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করলে ভালো হতো বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অন্যদিকে, এ সরকারের অধীনেই নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তাতে ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত করার মতো দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দাবি ওঠে অভ্যুত্থানকারীদের স্বীকৃতি দিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের। অবশেষে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির সামনে ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 যাতে জুলাই যোদ্ধাদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও। তবে, পিলখানা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ না থাকা এবং আগামী সংসদের হাতে আইনগত বৈধতা ন্যস্ত করার বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
 
ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ নম্বর পয়েন্টে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। যার প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, প্রক্লেমেশনের পরিবর্তে ডকুমেন্টসে পরিণত হয়েছে এটি। বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দল।
 
তবে বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে ঘোষণাপত্রকে। সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে একমত দলটি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে সব দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করলে ভালো হতো।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যদিও একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে এই সরকার, তবুও এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের সময়কালে যে সমস্ত আইনকানুন অধ্যাদেশ যে অ্যাক্টিভিটিস থাকবে তার বৈধতা দিতে হবে। সে বৈধতা দেয়ার জায়গা হচ্ছে চতুর্থ তফসিল। সেই জায়গায় গণঅভ্যুত্থানকে সন্নিবেশিত করে ওটাকে বৈধতা দেয়া হবে। মোটামুটিভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে ‘উইথ সাম রিজার্ভেশন’। সমস্ত কিছু কন্টেট করার জন্য হয়ত সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে, করলে ভালো হতো।

 অন্যদিকে, ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে এ সরকারকেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করার দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 তিনি বলেন, কার প্রত্যাশা কী, আমরা সবাই তো জনগণের কাছে যাবো এবং সেটা পূরণ করবে জনগণ। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা সেটা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, সেটা তারা তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাবে। এটার জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। জনগণের কাছে না গিয়ে তো কারও প্রত্যাশা পূরণ হবে না এবং কেউ যদি সেটা চায় তাহলে তো সেটা গণতান্ত্রিক হবে না।

দলটির দুই নেতাই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাওয়ায় অন্য বিতর্কে না যেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে কাজ করা উচিত।

জনপ্রিয়

ইন্দোনেশিয়ায় বৃদ্ধাশ্রমে আগুন লেগে ১৬ মৃত্যু

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যা বলছে বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১১:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। আইনগত বৈধতা আগামী সংসদের হাতে রাখায় ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। তবে, ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বিতর্ক এড়াতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করলে ভালো হতো বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অন্যদিকে, এ সরকারের অধীনেই নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তাতে ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত করার মতো দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দাবি ওঠে অভ্যুত্থানকারীদের স্বীকৃতি দিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের। অবশেষে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির সামনে ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 যাতে জুলাই যোদ্ধাদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও। তবে, পিলখানা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ না থাকা এবং আগামী সংসদের হাতে আইনগত বৈধতা ন্যস্ত করার বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
 
ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ নম্বর পয়েন্টে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। যার প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, প্রক্লেমেশনের পরিবর্তে ডকুমেন্টসে পরিণত হয়েছে এটি। বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দল।
 
তবে বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে ঘোষণাপত্রকে। সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে একমত দলটি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে সব দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করলে ভালো হতো।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যদিও একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে এই সরকার, তবুও এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের সময়কালে যে সমস্ত আইনকানুন অধ্যাদেশ যে অ্যাক্টিভিটিস থাকবে তার বৈধতা দিতে হবে। সে বৈধতা দেয়ার জায়গা হচ্ছে চতুর্থ তফসিল। সেই জায়গায় গণঅভ্যুত্থানকে সন্নিবেশিত করে ওটাকে বৈধতা দেয়া হবে। মোটামুটিভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে ‘উইথ সাম রিজার্ভেশন’। সমস্ত কিছু কন্টেট করার জন্য হয়ত সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে, করলে ভালো হতো।

 অন্যদিকে, ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে এ সরকারকেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করার দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 তিনি বলেন, কার প্রত্যাশা কী, আমরা সবাই তো জনগণের কাছে যাবো এবং সেটা পূরণ করবে জনগণ। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা সেটা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, সেটা তারা তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাবে। এটার জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। জনগণের কাছে না গিয়ে তো কারও প্রত্যাশা পূরণ হবে না এবং কেউ যদি সেটা চায় তাহলে তো সেটা গণতান্ত্রিক হবে না।

দলটির দুই নেতাই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাওয়ায় অন্য বিতর্কে না যেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে কাজ করা উচিত।