
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। আইনগত বৈধতা আগামী সংসদের হাতে রাখায় ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। তবে, ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বিতর্ক এড়াতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও আলোচনা করলে ভালো হতো বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অন্যদিকে, এ সরকারের অধীনেই নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তাতে ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত করার মতো দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলছেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দাবি ওঠে অভ্যুত্থানকারীদের স্বীকৃতি দিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের। অবশেষে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির সামনে ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যদিও একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে এই সরকার, তবুও এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের সময়কালে যে সমস্ত আইনকানুন অধ্যাদেশ যে অ্যাক্টিভিটিস থাকবে তার বৈধতা দিতে হবে। সে বৈধতা দেয়ার জায়গা হচ্ছে চতুর্থ তফসিল। সেই জায়গায় গণঅভ্যুত্থানকে সন্নিবেশিত করে ওটাকে বৈধতা দেয়া হবে। মোটামুটিভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে ‘উইথ সাম রিজার্ভেশন’। সমস্ত কিছু কন্টেট করার জন্য হয়ত সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে, করলে ভালো হতো।
অন্যদিকে, ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে এ সরকারকেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করার দাবিকে অগণতান্ত্রিক বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দলটির দুই নেতাই মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাওয়ায় অন্য বিতর্কে না যেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে কাজ করা উচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






































