বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কক্সবাজার / রহস্যজনক ভুমিকায় এলজিইডি মন্ত্রণালয়

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান শত অনিয়মের কারিগর

ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহচর ও অনিয়মের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এলজিইডি’র, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান আওয়ামী সখ্যতার কারণে কক্সবাজারে ২০২৩ সালের প্রথমদিকে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর অনিয়ম অনুসন্ধানের সূত্র ধরে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সম্পাদিত এবং চলমান সকল কাজের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে তথ্য না দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর পক্ষ নিয়ে মোবাইলে এবং সরাসরি সেনাবাহিনীর একটি টিম সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা অফিসে গিয়ে বিশেষ প্রতিবেদক এম শাহীন আলমকে খোঁজে সেনাবাহিনীর গুলিস্তান ক্যাম্পের কর্নেল আফজালুর রহমান পরিচয়ে বার বার হয়রানির করছেন বলে অভিযোগ করেন খোদ অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম মোরশেদ।
তিনি জানান, ঐসময়ে কক্সবাজারে এলজিইডি অফিসে তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান আর্মি ক্যাম্পের অফিসার পরিচয়ে’ আমার পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক এম শাহীন আলমকে তাদের ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারের সাথে দেখা করার জন্য মোবাইলে বার বার বলা হচ্ছিলো এবং সরাসরি আমার অপরাধ বিচিত্রা অফিসে এসে আর্মির একটি টিম আমার পত্রিকার সাংবাদিককে খোঁজা এক প্রকার হয়রানির শামিল। এস এম মোরশেদ জানান, যদি আমার প্রতিবেদক কিংবা অপরাধ বিচিত্রার নামে কোন প্রকার কেউ অভিযোগ করে থাকে তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযোগের জবাব চাওয়ার জন্য আর্মি অফিসারকে পরামর্শ দেওয়ার পরও তারা বার বার এম শাহীন আলমকে তাদের ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করার তাগিদ দেয় বলে জানান এস এম মোরশেদ।
ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজার জেলা এলজিইডি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান তার নিজের অনিয়ম আর অপকর্ম আড়াল করতেই সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে সাংবাদিককে নিউজ না করতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য বার বার এই চেষ্টা করছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং টেকনাফের সেন্টমার্টিনে রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম, উখিয়া উপজেলা ও কুতুবদিয়াতে রাস্তা এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণেও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ এর সেন্টমার্টিনে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কটি ইউনি ব্লকের কনকর্ড এর মতো কোম্পানির মাল দিয়ে করার কথা থাকলেও ওখানে ইটের ফণা ও সাগরেব বালু দিয়ে কিছু ব্লক বানিয়ে সড়কটিতে বসিয়েছে যাহা একেবারে নিম্নমানের এবং হাস্যকর। অনেক ঠিকাদারের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর যোগসাজশের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ করে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় বিশেষ সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনে সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম থাকলেও যে পরিমাণ কাজ হয়েছে কাজের তুলনায় এই কাজের সিংহ ভাগ অর্থই উত্তোলন করে তার হিসেব মিলাতে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান একের পর এক অজুহাত খোঁজে নিজেকে সেইভ করতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অনিয়ম থেকে রেহাই পাওয়ার জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উখিয়ায় রাস্তা এবং ছোট ছোট পুল-কালভাট নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে ঠিকাদাররা কাজ অসম্পূর্ণ রেখে এবং রাস্তার কাজে তিনটি লেয়ারে কাজ করার কথা থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসাজশে একটি লেয়ার কাজ না করেও ঠিকাদাররা প্রকৌশলীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে সহজে বিল পেয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান তার উপরের অফিসারদের অনুমতি না নিয়েই প্রতি সপ্তাহে কক্সবাজার থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গা যাচ্ছেন যা সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করার শামিল। অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খানের মাসিক বেতন ভাতা কত? তিনি কি করে সপ্তাহে দুই – তিনবার কক্সবাজার থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমানে যাতায়াত করে। যা কক্সবাজার বিমান বন্দরে সিসিটিভি ফুটেজের তার সকল তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে।
একাধিক সূত্রে জানা যায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলমের সহযোগিতায় নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান নিজে ও পরিবার সহ বিমানে যাতায়াতের সময় কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন মাদক নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেন মাদক সিন্ডিকেটের হাতে।
কক্সবাজার সদর , উখিয়ায় গুটি কয়েক আওয়ামী পন্থী প্রভাবশালী ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজে যেমন ব্রীজ‌ ও সড়কের কাজ না করে বিগত সরকারের আমলে জুন মাসের প্রদেয় আনুমানিক দশ কোটি টাকার অগ্রীম বিল দেন অবৈধ সুবিধা নিয়ে ,কিন্তু ঐ কাজগুলো এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
জুলাই – আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী আরো বেপরোয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খানের অনিয়ম, দূর্নীতি টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্য, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ভিন্ন মতাদর্শের প্রকৌশলীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার এলজিইডি অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশ্ন একটাই উক্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এত অনিয়ম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের রহস্যজনক নীরবতা কেনো।
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজার / রহস্যজনক ভুমিকায় এলজিইডি মন্ত্রণালয়

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান শত অনিয়মের কারিগর

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহচর ও অনিয়মের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত এলজিইডি’র, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান আওয়ামী সখ্যতার কারণে কক্সবাজারে ২০২৩ সালের প্রথমদিকে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর অনিয়ম অনুসন্ধানের সূত্র ধরে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সম্পাদিত এবং চলমান সকল কাজের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে তথ্য না দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর পক্ষ নিয়ে মোবাইলে এবং সরাসরি সেনাবাহিনীর একটি টিম সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা অফিসে গিয়ে বিশেষ প্রতিবেদক এম শাহীন আলমকে খোঁজে সেনাবাহিনীর গুলিস্তান ক্যাম্পের কর্নেল আফজালুর রহমান পরিচয়ে বার বার হয়রানির করছেন বলে অভিযোগ করেন খোদ অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম মোরশেদ।
তিনি জানান, ঐসময়ে কক্সবাজারে এলজিইডি অফিসে তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান আর্মি ক্যাম্পের অফিসার পরিচয়ে’ আমার পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক এম শাহীন আলমকে তাদের ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারের সাথে দেখা করার জন্য মোবাইলে বার বার বলা হচ্ছিলো এবং সরাসরি আমার অপরাধ বিচিত্রা অফিসে এসে আর্মির একটি টিম আমার পত্রিকার সাংবাদিককে খোঁজা এক প্রকার হয়রানির শামিল। এস এম মোরশেদ জানান, যদি আমার প্রতিবেদক কিংবা অপরাধ বিচিত্রার নামে কোন প্রকার কেউ অভিযোগ করে থাকে তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযোগের জবাব চাওয়ার জন্য আর্মি অফিসারকে পরামর্শ দেওয়ার পরও তারা বার বার এম শাহীন আলমকে তাদের ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করার তাগিদ দেয় বলে জানান এস এম মোরশেদ।
ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজার জেলা এলজিইডি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান তার নিজের অনিয়ম আর অপকর্ম আড়াল করতেই সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে সাংবাদিককে নিউজ না করতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য বার বার এই চেষ্টা করছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং টেকনাফের সেন্টমার্টিনে রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম, উখিয়া উপজেলা ও কুতুবদিয়াতে রাস্তা এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণেও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ এর সেন্টমার্টিনে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কটি ইউনি ব্লকের কনকর্ড এর মতো কোম্পানির মাল দিয়ে করার কথা থাকলেও ওখানে ইটের ফণা ও সাগরেব বালু দিয়ে কিছু ব্লক বানিয়ে সড়কটিতে বসিয়েছে যাহা একেবারে নিম্নমানের এবং হাস্যকর। অনেক ঠিকাদারের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান এর যোগসাজশের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ করে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় বিশেষ সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনে সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম থাকলেও যে পরিমাণ কাজ হয়েছে কাজের তুলনায় এই কাজের সিংহ ভাগ অর্থই উত্তোলন করে তার হিসেব মিলাতে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান একের পর এক অজুহাত খোঁজে নিজেকে সেইভ করতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অনিয়ম থেকে রেহাই পাওয়ার জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উখিয়ায় রাস্তা এবং ছোট ছোট পুল-কালভাট নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে ঠিকাদাররা কাজ অসম্পূর্ণ রেখে এবং রাস্তার কাজে তিনটি লেয়ারে কাজ করার কথা থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসাজশে একটি লেয়ার কাজ না করেও ঠিকাদাররা প্রকৌশলীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে সহজে বিল পেয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান তার উপরের অফিসারদের অনুমতি না নিয়েই প্রতি সপ্তাহে কক্সবাজার থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গা যাচ্ছেন যা সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করার শামিল। অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খানের মাসিক বেতন ভাতা কত? তিনি কি করে সপ্তাহে দুই – তিনবার কক্সবাজার থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমানে যাতায়াত করে। যা কক্সবাজার বিমান বন্দরে সিসিটিভি ফুটেজের তার সকল তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে।
একাধিক সূত্রে জানা যায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলমের সহযোগিতায় নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান নিজে ও পরিবার সহ বিমানে যাতায়াতের সময় কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন মাদক নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেন মাদক সিন্ডিকেটের হাতে।
কক্সবাজার সদর , উখিয়ায় গুটি কয়েক আওয়ামী পন্থী প্রভাবশালী ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজে যেমন ব্রীজ‌ ও সড়কের কাজ না করে বিগত সরকারের আমলে জুন মাসের প্রদেয় আনুমানিক দশ কোটি টাকার অগ্রীম বিল দেন অবৈধ সুবিধা নিয়ে ,কিন্তু ঐ কাজগুলো এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
জুলাই – আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী আরো বেপরোয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খানের অনিয়ম, দূর্নীতি টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্য, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ভিন্ন মতাদর্শের প্রকৌশলীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার এলজিইডি অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশ্ন একটাই উক্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এত অনিয়ম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের রহস্যজনক নীরবতা কেনো।