মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাত্রীদের সঙ্গে সহকারি স্টেশন মাস্টারের অসৌজন্যমূলক আচরণ, পৌনে ২ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সহকারি স্টেশন মাস্টারের (এএসএম) কামাল হোসেন কর্তৃক যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকি প্রদানের  অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ই আগস্ট) দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। ট্রেনের সময় জিজ্ঞেস করায় এবং ওয়েটিং রুম খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ট্রেন বন্ধের ঘোষণা দিলে প্লাটফর্মে থাকা শত শত যাত্রী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা সহকারী স্টেশন মাষ্টারের এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে কয়েকজন যাত্রী শৌচাগারের চাবি ও ট্রেনের সময়সূচি জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. কামাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি টেলিফোনের রিসিভার ছুড়ে মারেন, যাত্রীদের দিকে তেড়ে আসেন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কারনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস কুলাউড়া স্টেশনে পৌনে ২ ঘন্টা সময়ের জন্য আটকা পড়ে। পরে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো: মহিউদ্দিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং পৌনে ২ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুলাউড়ার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা শফিক আহমদ বলেন, “সহকারি স্টেশন মাস্টার কামাল হোসেন মূলত আওয়ামীলীগের দোসর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, “কামাল সাহেবের আচরণ দেখে আমাদের মনে হচ্ছিলো যেন রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনগুলো তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।”
কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই বলেন, “আমরা ট্রেনের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছি। সে সময়ও কামাল হোসেন আমাদের চরমভাবে হুমকি দেন। এতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”
এ বিষয়ে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমেদ বলেন, “ভিডিওটি আমি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিগগিরই বিষয়টি সুরাহা হবে।”
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন জানান, স্টেশনের এ পরিস্থিতি শুনে স্টেশনে ছুটে আসি এবং যাত্রী ও স্টেশনে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বড় মাষ্টারসহ সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

যাত্রীদের সঙ্গে সহকারি স্টেশন মাস্টারের অসৌজন্যমূলক আচরণ, পৌনে ২ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সহকারি স্টেশন মাস্টারের (এএসএম) কামাল হোসেন কর্তৃক যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকি প্রদানের  অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ই আগস্ট) দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। ট্রেনের সময় জিজ্ঞেস করায় এবং ওয়েটিং রুম খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ট্রেন বন্ধের ঘোষণা দিলে প্লাটফর্মে থাকা শত শত যাত্রী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা সহকারী স্টেশন মাষ্টারের এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে কয়েকজন যাত্রী শৌচাগারের চাবি ও ট্রেনের সময়সূচি জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. কামাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি টেলিফোনের রিসিভার ছুড়ে মারেন, যাত্রীদের দিকে তেড়ে আসেন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এসব কারনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস কুলাউড়া স্টেশনে পৌনে ২ ঘন্টা সময়ের জন্য আটকা পড়ে। পরে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো: মহিউদ্দিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং পৌনে ২ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুলাউড়ার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা শফিক আহমদ বলেন, “সহকারি স্টেশন মাস্টার কামাল হোসেন মূলত আওয়ামীলীগের দোসর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, “কামাল সাহেবের আচরণ দেখে আমাদের মনে হচ্ছিলো যেন রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনগুলো তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।”
কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই বলেন, “আমরা ট্রেনের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছি। সে সময়ও কামাল হোসেন আমাদের চরমভাবে হুমকি দেন। এতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”
এ বিষয়ে কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমেদ বলেন, “ভিডিওটি আমি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিগগিরই বিষয়টি সুরাহা হবে।”
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন জানান, স্টেশনের এ পরিস্থিতি শুনে স্টেশনে ছুটে আসি এবং যাত্রী ও স্টেশনে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বড় মাষ্টারসহ সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।