মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে মতলব উত্তরের ছেংগারচরে ১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন সেচ খাল সংস্কারের উদ্বোধন

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সুরুজ প্লাজা ব্রিজ থেকে হানিরপাড় পর্যন্ত ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন সেচ খাল সংস্কার (পরিষ্কার) কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মতলব উত্তর থানার সামনে এই সংস্কার কাজ উদ্বোধন করেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পাউবো বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সাহেদ, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল হক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ উজ্জ্বল ফরাজী, কৃষক প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান ফরাজি, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পীর আঃ মান্নান সাগর, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ বেপারী, ছেংগারচর পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান, মহন ফরাজি প্রমূখ।

১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন খাল সংস্কারে দুইটি প্যাকেজে জরুরি ভিত্তিতে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে মেঘনা ধনাগোদা পওর বিভাগ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোহাগী এন্টারপ্রাাইজ।

এসময় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বলেন, এই খালটি ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীক হওয়ায় বাজারের অনেক ময়লা আবর্জনা স্তু‘পে জমে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়েছিল। এ সেচ খালের সর্বত্রজুড়ে আগাছার রাজত্ব, দখলদারি, এই মৃত খাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়েছিলো। ফলে এ খাল দিয়ে বিলের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছিলনা। এতে করে পৌরসভা ও কয়েকটি ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। প্রতি বছল জলাবদ্ধতায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতো। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অযতœ আর অবহেলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প আগাছামুক্ত ও পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থার ছিলেঅ না কোন পরিবর্তন। এ খালটি সংস্কারের দাবী ভুক্তভোগী কৃষকরা দাবী জানিয়ে আসছিলো দীর্ঘ দিন। অবশেষে তাদেও প্রাণের দাবী এই খালটি সংস্কার হলে বহু কৃষকের অনেক উপকার হবে। ফসল উৎপাদনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সেচ প্রকল্পের হানিরপাড়, জোড়খালি, বারআনী, শিকিরচর, ঠাকুরচর, মিলারচর, কলাকান্দা,ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, আদুরভিটি,জীবগাঁও, পাঠানবাজার, ঝিনাইয়া, মরাদন, রুহিতারপাড়, ঘনিয়ারপাড়সহ এসব এলাকার উচু-নিচু জমি ও বিলে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবশেষে মতলব উত্তরের ছেংগারচরে ১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন সেচ খাল সংস্কারের উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সুরুজ প্লাজা ব্রিজ থেকে হানিরপাড় পর্যন্ত ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন সেচ খাল সংস্কার (পরিষ্কার) কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মতলব উত্তর থানার সামনে এই সংস্কার কাজ উদ্বোধন করেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পাউবো বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সাহেদ, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল হক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ উজ্জ্বল ফরাজী, কৃষক প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান ফরাজি, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পীর আঃ মান্নান সাগর, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ বেপারী, ছেংগারচর পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান, মহন ফরাজি প্রমূখ।

১.৮ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন খাল সংস্কারে দুইটি প্যাকেজে জরুরি ভিত্তিতে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে মেঘনা ধনাগোদা পওর বিভাগ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোহাগী এন্টারপ্রাাইজ।

এসময় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বলেন, এই খালটি ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীক হওয়ায় বাজারের অনেক ময়লা আবর্জনা স্তু‘পে জমে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়েছিল। এ সেচ খালের সর্বত্রজুড়ে আগাছার রাজত্ব, দখলদারি, এই মৃত খাল হিসেবে পরিণত হয়ে পড়েছিলো। ফলে এ খাল দিয়ে বিলের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছিলনা। এতে করে পৌরসভা ও কয়েকটি ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। প্রতি বছল জলাবদ্ধতায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতো। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অযতœ আর অবহেলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প আগাছামুক্ত ও পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থার ছিলেঅ না কোন পরিবর্তন। এ খালটি সংস্কারের দাবী ভুক্তভোগী কৃষকরা দাবী জানিয়ে আসছিলো দীর্ঘ দিন। অবশেষে তাদেও প্রাণের দাবী এই খালটি সংস্কার হলে বহু কৃষকের অনেক উপকার হবে। ফসল উৎপাদনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সেচ প্রকল্পের হানিরপাড়, জোড়খালি, বারআনী, শিকিরচর, ঠাকুরচর, মিলারচর, কলাকান্দা,ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, আদুরভিটি,জীবগাঁও, পাঠানবাজার, ঝিনাইয়া, মরাদন, রুহিতারপাড়, ঘনিয়ারপাড়সহ এসব এলাকার উচু-নিচু জমি ও বিলে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।