রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি কে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার (১৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূতে এই তথ্য জানা গেছে।

 এর আগে গত ৭ আগস্ট অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীমকে খালাস দেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থপাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীর চার বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
 
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছিলেন, ‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শ লালন করে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। যা মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত।
 
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।

পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।

জনপ্রিয়

শূন্যরেখা অতিক্রম, বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক

জি কে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

প্রকাশের সময় : ১২:৩১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার (১৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূতে এই তথ্য জানা গেছে।

 এর আগে গত ৭ আগস্ট অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীমকে খালাস দেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থপাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীর চার বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
 
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছিলেন, ‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শ লালন করে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। যা মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত।
 
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।

পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।