বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে স্ট্রোকে প্রাণ গেল ছেলের

ছবি- সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছেলে সাইফুল ইসলাম। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত আলাউদ্দীনের স্ত্রী চায়না খাতুন (৬৩) হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে ছেলে সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে মায়ের খোঁজখবর নেন এবং ওষুধ কিনে দিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পরই মায়ের মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। এ খবর সহ্য করতে না পেরে মুহূর্তের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাইফুল। জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ইসরাত জেরিন জেসিকা বলেন, মায়ের মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যু বিরল ঘটনা। এ ঘটনায় হাসপাতালজুড়ে শোকের আবহ নেমে আসে। এ দিকে একই পরিবারের দুজনের অকাল মৃত্যুতে পুরো মহল্লা শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদল ঢাকায়

মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে স্ট্রোকে প্রাণ গেল ছেলের

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছেলে সাইফুল ইসলাম। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত আলাউদ্দীনের স্ত্রী চায়না খাতুন (৬৩) হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে ছেলে সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে মায়ের খোঁজখবর নেন এবং ওষুধ কিনে দিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পরই মায়ের মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। এ খবর সহ্য করতে না পেরে মুহূর্তের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাইফুল। জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ইসরাত জেরিন জেসিকা বলেন, মায়ের মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যু বিরল ঘটনা। এ ঘটনায় হাসপাতালজুড়ে শোকের আবহ নেমে আসে। এ দিকে একই পরিবারের দুজনের অকাল মৃত্যুতে পুরো মহল্লা শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।