বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ের হোটেল মালিককে জরিমানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা 

মাহামুদুল ইসলাম জয়, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ ও ক্লিনিকগুলোতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে যৌথবাহিনী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার বোদা মডেল মসজিদ সংলগ্ন কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জরিমানা। বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা, বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব, বোদা থানার এসআই রবিউল ইসলামসহ যৌথবাহিনীর টহল টিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।
এসময় কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে না পারা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ব্যবহৃত ইনজেকশন রাখায় এবং সেবার মানে অনিয়ম থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করা হয়।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব বলেন, “এ ধরনের অভিযানে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এখন থেকে আরো সতর্ক থাকবে। এতে সেবার মান বাড়বে এবং রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাবে।”
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা বলেন, “আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের স্বাস্থ্য ও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় নিয়মিত বাজার ও ক্লিনিক মনিটরিং করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদ বলেন, “মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছি। এখানে রোগীদের মানসম্মত সেবা দেওয়া হয় না। পরিদর্শনে আমরা যে চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি, তার প্রায় সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ— এমনকি ২০২২ সালের প্রোডাক্টও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু শাস্তি দেওয়া নয়, বরং ব্যবসায়ী ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা, যাতে তারা আইন মেনে সেবা প্রদান করে এবং জনগণ প্রতারিত না হয়।”
অভিযান চলাকালে এলাকাবাসী যৌথবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং নিয়মিত এমন কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানান।
জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ের হোটেল মালিককে জরিমানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা 

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
মাহামুদুল ইসলাম জয়, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ ও ক্লিনিকগুলোতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে যৌথবাহিনী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার বোদা মডেল মসজিদ সংলগ্ন কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জরিমানা। বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা, বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব, বোদা থানার এসআই রবিউল ইসলামসহ যৌথবাহিনীর টহল টিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।
এসময় কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে না পারা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ব্যবহৃত ইনজেকশন রাখায় এবং সেবার মানে অনিয়ম থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করা হয়।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব বলেন, “এ ধরনের অভিযানে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এখন থেকে আরো সতর্ক থাকবে। এতে সেবার মান বাড়বে এবং রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাবে।”
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা বলেন, “আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের স্বাস্থ্য ও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় নিয়মিত বাজার ও ক্লিনিক মনিটরিং করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদ বলেন, “মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছি। এখানে রোগীদের মানসম্মত সেবা দেওয়া হয় না। পরিদর্শনে আমরা যে চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি, তার প্রায় সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ— এমনকি ২০২২ সালের প্রোডাক্টও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু শাস্তি দেওয়া নয়, বরং ব্যবসায়ী ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা, যাতে তারা আইন মেনে সেবা প্রদান করে এবং জনগণ প্রতারিত না হয়।”
অভিযান চলাকালে এলাকাবাসী যৌথবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং নিয়মিত এমন কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানান।