
টমেটো রান্না না করে কেবল টুকরা করে যদি খান, উপকার বেশি পাবেন। এটি আপনাকে শুধু সতেজই করবে না, বরং অনেক অসুখ থেকেও দূরে রাখবে। রান্না করা টমেটো যতই সুস্বাদু হোক না কেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু সেরা পুষ্টি উপাদান নষ্ট করে। রান্না না করে টমেটো খেলে সেসব উপাদান অক্ষত থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, টমেটো খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী: একটি মাঝারি টমেটোতে বেশ ভালো পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এর মানে হলো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ফ্লু মৌসুমে। নিয়মিত লাইকোপিন গ্রহণ ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। সাপ্লিমেন্টের বদলে টমেটো খেলে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ানোর একটি প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে কাজ করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: উজ্জ্বল ত্বক চাইলে আপনার খাদ্যতালিকায় টমটোকে স্থান দিন। টমেটোতে লাইকোপিন, বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি কমাতে এবং কোলাজেন বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত টমেটো খেলে লক্ষ্য করবেন যে ধীরে ধীরে আপনার ত্বক আরও সতেজ দেখাচ্ছে। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক আরও সতেজ, উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত দেখাবে। অনেকে দ্রুত ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য সরাসরি ত্বকে টমেটোর পাল্প ব্যবহার করে, কিন্তু এটি খেলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া যায়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: পেটফাঁপা? কোষ্ঠকাঠিন্য? ওষুধের দিকে না গিয়ে প্রতিদিন একটি টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন। টমেটোতে থাকা পানি এবং ফাইবার হজমের জন্য চমৎকার। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। টমেটোতে থাকা হালকা অ্যাসিড পেটকে খাবার ভালোভাবে হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় রস তৈরি করতে সাহায্য করে। ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, অন্যদিকে এতে থাকা পানি হজম ব্যবস্থাকে হাইড্রেটেড রাখে। টমেটোতে প্রাকৃতিক অ্যাসিডও থাকে যা পেটের রসকে উদ্দীপিত করে, মসৃণ হজমে সহায়তা করে।
চোখ ভালো রাখে: টমেটো দৃষ্টিশক্তিরও যত্ন নেয়। এতে থাকা ভিটামিন এ, লুটেইন এবং জেক্সানথিন চোখকে রাতকানা থেকে রক্ষা করে। আপনি যদি স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান, তাহলে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করুন। টমেটো আপনার চোখের ওপর চাপ কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক 






































