মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মৌলভীবাজার

সড়কে খানাখন্দে ভরা, দূর্ভোগ চরমে

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৌলভীবাজার-কাগাবলা ও মৌলভীবাজার-শমশেরগঞ্জ সড়কে থমকে গেছে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের চরমে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারী ট্রাক ও কার্গোভ্যান চলাচল করায় অপেক্ষাকৃত কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙেচুরে জনসাধারণের যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে কাগাবলা ও শমশেরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। গ্রামীণ জনপদের এই দুই রাস্তা ব্যবহার করে সদর উপজেলার আমতৈল, কাগাবলা, নাজিরাবাদ ইউনিয়নের একাংশের মানুষ ও নিকটবর্তী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর, ভুনবীর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর এবং পানিউমদা ইউনিয়নের মানুষ মৌলভীবাজারে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাগুলোর দীঘিরপাড়, অলহা, সূর্যপাশা, আথানগিরি, ধনদাশসহ বিভিন্ন এলাকায় খানা-খন্দে ভরা। ফলে ছোটবড় যানবাহন যাতায়াতে সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অন্যদিকে খানা-খন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আধা ঘণ্টার রাস্তা এক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয় বলে জানান প্রাণ ফুডের টেম্পু চালক মিলন মিয়া।
দীঘিরপাড় বাজারের পল্লি চিকিৎসক জগদীশচন্দ্র দে জানান, বছরখানেক ধরে রাস্তার এই বেহাল দশা। সিরিয়াস কোন রোগী নিয়ে যাতায়াতে ভুক্তভোগীরা বেকায়দায় পড়েন। বিশেষ করে, গর্ভবতী রোগী হলে তো কষ্টের সীমা অন্তহীন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ওই এলাকার জীবন দে পলাশ বলেন, রাত-দিন ইট বহনকারী ভারী যানবাহন ও কাজী ফার্মের ডিম এবং ফিড বহনকারী কাভার্ডভ্যান চলাচল করায় রাস্তার এ হাল হয়েছে। এ বেহাল দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসাইন বলেন, গত জুলাই মাসে ভেঙে পড়া রাস্তা দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায় সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হাতে আসলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

মৌলভীবাজার

সড়কে খানাখন্দে ভরা, দূর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ১০:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৌলভীবাজার-কাগাবলা ও মৌলভীবাজার-শমশেরগঞ্জ সড়কে থমকে গেছে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের চরমে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারী ট্রাক ও কার্গোভ্যান চলাচল করায় অপেক্ষাকৃত কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙেচুরে জনসাধারণের যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে কাগাবলা ও শমশেরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। গ্রামীণ জনপদের এই দুই রাস্তা ব্যবহার করে সদর উপজেলার আমতৈল, কাগাবলা, নাজিরাবাদ ইউনিয়নের একাংশের মানুষ ও নিকটবর্তী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর, ভুনবীর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর এবং পানিউমদা ইউনিয়নের মানুষ মৌলভীবাজারে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাগুলোর দীঘিরপাড়, অলহা, সূর্যপাশা, আথানগিরি, ধনদাশসহ বিভিন্ন এলাকায় খানা-খন্দে ভরা। ফলে ছোটবড় যানবাহন যাতায়াতে সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অন্যদিকে খানা-খন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আধা ঘণ্টার রাস্তা এক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয় বলে জানান প্রাণ ফুডের টেম্পু চালক মিলন মিয়া।
দীঘিরপাড় বাজারের পল্লি চিকিৎসক জগদীশচন্দ্র দে জানান, বছরখানেক ধরে রাস্তার এই বেহাল দশা। সিরিয়াস কোন রোগী নিয়ে যাতায়াতে ভুক্তভোগীরা বেকায়দায় পড়েন। বিশেষ করে, গর্ভবতী রোগী হলে তো কষ্টের সীমা অন্তহীন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ওই এলাকার জীবন দে পলাশ বলেন, রাত-দিন ইট বহনকারী ভারী যানবাহন ও কাজী ফার্মের ডিম এবং ফিড বহনকারী কাভার্ডভ্যান চলাচল করায় রাস্তার এ হাল হয়েছে। এ বেহাল দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসাইন বলেন, গত জুলাই মাসে ভেঙে পড়া রাস্তা দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায় সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হাতে আসলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।